আমি কি মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করব; নাকি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ব?

প্রশ্ন মুয়াজ্জিন যখন আজান দিচ্ছিলেন তখন যদি আমি মসজিদে প্রবেশ করি; আমি কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ (মসজিদে প্রবেশের নামায) আদায় করব; নাকি আমি দাঁড়িয়ে থেকে মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করব; এরপর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ব? মুয়াজ্জিন যখন আজান দিচ্ছিলেন তখন যদি আমি মসজিদে প্রবেশ করি; আমি কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ (মসজিদে প্রবেশের নামায) আদায় করব; নাকি আমি দাঁড়িয়ে থেকে মুয়াজ্জিনের…

প্রশ্ন

মুয়াজ্জিন যখন আজান দিচ্ছিলেন তখন যদি আমি মসজিদে প্রবেশ করি; আমি কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ (মসজিদে প্রবেশের নামায) আদায় করব; নাকি আমি দাঁড়িয়ে থেকে মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করব; এরপর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ব?

মুয়াজ্জিন যখন আজান দিচ্ছিলেন তখন যদি আমি মসজিদে প্রবেশ করি; আমি কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ (মসজিদে প্রবেশের নামায) আদায় করব; নাকি আমি দাঁড়িয়ে থেকে মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করব; এরপর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ব?

আলহামদু লিল্লাহ।.

উত্তম হচ্ছে মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করা। এরপর তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা। যাতে করে আপনি দুটো ইবাদত তথা মুয়াজ্জিনের অনুসরণ ও তাহিয়্যাতুল মাসজিদের নামায আদায় করতে পারেন: ।

কিন্তু এটি যদি জুমার দিনে হয় তাহলে উত্তম হলো বিলম্ব না করে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা; যাতে করে খোতবা শুনায় মনোনিবেশ করতে পারে। যেহেতু খোতবা শুনা মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করার চেয়ে উত্তম।

শাইখ ইবনে উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

যদি মুয়াজ্জিন আযান দেয়াকালে আমি মসজিদে প্রবেশ করি সেক্ষেত্রে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা উত্তম; নাকি মুয়াজ্জিনের অনুসরণ করা উত্তম?

তিনি জবাব দেন: এর উত্তর ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। যদি মুয়াজ্জিন জুমার নামাযের আযান দেয়াকালে আপনি মসজিদে প্রবেশ করেন; যে আযানটি খতীবের সামনে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে আমরা বলব: অবিলম্বে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করবেন। মুয়াজ্জিনের আযান শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। কেননা খোতবা শুনার জন্য অবসর হওয়া মুয়াজ্জিনের আযানের জবাব দেয়ার চেয়ে উত্তম। যেহেতু খোতবা শুনা ওয়াজিব। মুয়াজ্জিনের আযানের জবাব দেয়া ওয়াজিব নয়।

আর যদি অন্য আযান হয় (অর্থাৎ জুমার আযান না হয়) তাহলে উত্তম হলো: আপনি মুয়াজ্জিনের আযানের জবাব দেয়া শেষ করা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা এবং আযানের শেষে পঠিতব্য প্রসিদ্ধ দোয়াটি পড়া:

اللَّهمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّد، اللَّهمَّ رَبَّ هذه الدَّعوةِ التّامَّةِ، والصَّلاةِ القائِمةِ، آتِ مُحمدًا الوَسيلةَ والفَضيلةَ، وابعَثْه مَقامًا مَحمودًا الذي وَعَدْتَه؛ إنَّكَ لا تُخلِفُ الميعادَ

হে আল্লাহ্‌! মুহাম্মদ-এর প্রতি আপনার রহমত বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ্‌! এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের আপনিই প্রভু। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দান করুন (বেহেশতের) সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান ও সুমহান মর্যাদা। আর তাঁকে অধিষ্ঠিত করুন শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত স্থানে, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।’) এরপর তিনি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করবেন।[সমাপ্ত]

ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন (১৪/২৯৫)

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.