ইতিকাফকারীর জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া কি জায়েয?

প্রশ্ন রমযানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করা সম্পর্কে আমি জানতে চাই। উল্লেখ্য, আমি চাকুরী করি। আমার চাকুরীর ডিউটি শেষ হয় দুপুর ২টা বাজে। আমাকে কি সার্বক্ষণিক মসজিদে থাকতে হবে? রমযানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করা সম্পর্কে আমি জানতে চাই। উল্লেখ্য, আমি চাকুরী করি। আমার চাকুরীর ডিউটি শেষ হয় দুপুর ২টা বাজে। আমাকে কি সার্বক্ষণিক মসজিদে…

প্রশ্ন

রমযানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করা সম্পর্কে আমি জানতে চাই। উল্লেখ্য, আমি চাকুরী করি। আমার চাকুরীর ডিউটি শেষ হয় দুপুর ২টা বাজে। আমাকে কি সার্বক্ষণিক মসজিদে থাকতে হবে?

রমযানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করা সম্পর্কে আমি জানতে চাই। উল্লেখ্য, আমি চাকুরী করি। আমার চাকুরীর ডিউটি শেষ হয় দুপুর ২টা বাজে। আমাকে কি সার্বক্ষণিক মসজিদে থাকতে হবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হওয়া ইতিকাফকে বাতিল করে দেয়। কেননা ইতিকাফ হলো: মসজিদে আল্লাহ্‌র আনুগত্যের জন্য অবস্থান করা।

তবে যদি এমন কোন কাজে বের হয় যার জন্য বের না হলে নয়; যেমন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে, ওযু ও গোসলের জন্য, খাবার আনার জন্য; যদি খাবার দিয়ে যাওয়ার কেউ না থাকে ইত্যাদি যে কাজগুলো না হলে নয় এবং যে কাজগুলো মসজিদে করার সুযোগ নেই; সেক্ষেত্রে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিকাফে থাকা অবস্থায় মানবিক প্রয়োজন ছাড়া বাসাতে প্রবেশ করতেন না।[সহিহ বুখারী (২০৯২) ও সহিহ মুসলিম (২৯৭)]

ইবনে কুদামা ‘আল-মুগনী’ গ্রন্থে (৪/৪৬৬) বলেন:

মানবিক প্রয়োজন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: পেশাব ও পায়খানা। মানবিক প্রয়োজন বলে ইঙ্গিতে এ দুটোতে বুঝানো হয়েছে। কেননা প্রত্যেক মানুষেরই এ দুটো কাজ করার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের মধ্যে খাবার ও পানীয়ও অধিভুক্ত। যদি তার জন্য তার প্রয়োজনগুলো নিয়ে আসার কেউ না থাকে তাহলে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই এর জন্য বের হতে পারবে। এতে করে তার ইতিকাফ বাতিল হবে না; যদি এই শর্তে বের হয় এবং দেরী না করে।[সমাপ্ত]

ইতিকাফকারীর চাকুরীর জন্য বের হওয়া এটি ইতিকাফের সাথে সাংঘর্ষিক।

স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

ইতিকাফকারীর জন্য কোন রোগীকে দেখতে যাওয়া, কোন নিমন্ত্রণে হাযির হওয়া, পরিবারের প্রয়োজন পূরণে, জানাযার নামায পড়তে কিংবা মসজিদের বাহিরে কোন কাজে যাওয়া কি জায়েয?

তারা জবাব দেন:

সুন্নাহ্‌ হলো: ইতিকাফকারী ইতিকাফকালে কোন রোগীকে দেখতে না যাওয়া, নিমন্ত্রণে না যাওয়া, পরিবারের প্রয়োজন পূরণে বের না হওয়া, জানাযায় হাযির না হওয়া, মসজিদের বাহিরে কোন কাজে না যাওয়া। যেহেতু আয়েশা (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “সুন্নাহ হলো ইতিকাফকারী কোন রোগীকে দেখতে না যাওয়া, জানাযায় হাযির না হওয়া, কোন নারীকে স্পর্শ না করা, শৃঙ্গার না করা, কোন প্রয়োজনে বের না হওয়া; একান্ত যে প্রয়োজনে বের না হলেই নয় সেটা ছাড়া।[সুনানে আবু দাউদ (২৪৭৩)]

ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (১০/৪১০)

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.