ইহরাম অবস্থায় পুরুষ ও নারীর কাপড়ের মোজা পরা

প্রশ্ন আমি যখন উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা ছিল বিধায় আমি কাপড়ের মোজা পরেছি। এমতাবস্থায় আমার উপর কি আবশ্যক হবে? আমি যখন উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা ছিল বিধায় আমি কাপড়ের মোজা পরেছি। এমতাবস্থায় আমার উপর কি আবশ্যক হবে? আলহামদু লিল্লাহ।. পুরুষ ইহরামকারীর জন্য কাপড়ের মোজা পরা জায়েয নয়। পক্ষান্তরে মহিলাদের জন্য জায়েয…

প্রশ্ন

আমি যখন উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা ছিল বিধায় আমি কাপড়ের মোজা পরেছি। এমতাবস্থায় আমার উপর কি আবশ্যক হবে?

আমি যখন উমরার ইহরাম বেঁধেছিলাম তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা ছিল বিধায় আমি কাপড়ের মোজা পরেছি। এমতাবস্থায় আমার উপর কি আবশ্যক হবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

পুরুষ ইহরামকারীর জন্য কাপড়ের মোজা পরা জায়েয নয়। পক্ষান্তরে মহিলাদের জন্য জায়েয আছে।

শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) আল-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থে (৭/১৫৪) বলেন:

মাসয়ালা: তার (নারীর) জন্য কাপড়ের মোজা পরা কি হারাম?

জবাব: না। কাপড়ের মোজা পরা পুরুষের জন্য হারাম।[সমাপ্ত]

যদি কোন পুরুষ ইহরামকারীর কাপড়ের মোজা পরার প্রয়োজন হয় তাহলে তার জন্য পরা জায়েয হবে। তবে তাকে ফিদিয়া দিতে হবে। ফিদিয়া হলো: একটি ভেড়া বা ছাগল জবাই করা কিংবা ছয়জন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো কিংবা তিনদিন রোযা রাখা। এই তিনটি বিষয়ের মধ্য থেকে যে কোনটি তিনি করতে পারেন।

স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: পায়ে কাপড়ের মোজা পরা ও এটি পরে হজ্জের সময় তাওয়াফে কুদুম করা ও উমরার তাওয়াফ করার হুকুম কি?

জবাব:

হজ্জ বা উমরার ইহরামকারী পুরুষের জন্য কাপড়ের মোজা পরা জায়েয নয়। যদি কোন রোগের কারণে বা অন্য কোন কারণে পরার প্রয়োজন হয় তাহলে পরা জায়েয হবে; তবে তার উপর ফিদিয়া দেয়া ওয়াজিব হবে। ফিদিয়া হলো: তিনদিন রোযা রাখা কিংবা ছয়জন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো। প্রত্যেক মিসকীনকে অর্ধ সা’ খেজুর বা এ জাতীয় অন্য কিছু দেয়া কিংবা একটি ভেড়া বা ছাগল জবাই করা।[গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি (১১/১৮৩)]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.