একটি পরিবারের মধ্যে পিতামাতার ভূমিকা কি?

প্রশ্ন একটি পরিবারের মধ্যে পিতামাতার ভূমিকা কি? উত্তর যদিও খ্রীষ্টের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলারা সমান, শাস্ত্র বিবাহের মধ্যে প্রত্যেককে সুন্রিদিষ্ট ভূমিকা দেয় I বাড়িতে স্বামীর নেতৃত্বকে মেনে নেওয়া হয় (1 করিন্থীয়ান 11:3); ইফিষীয় 5:23) I নেতৃত্বকে স্বেচ্ছাচারী, ঘৃণ্য, বা স্ত্রীর প্রতি পৃষ্ঠপোষক হওয়া উচিত নয়, তবে খ্রীষ্টের দৃষ্টান্ত অনুসারের মন্ডলীকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতন…

প্রশ্ন

একটি পরিবারের মধ্যে পিতামাতার ভূমিকা কি?

উত্তর

যদিও খ্রীষ্টের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষ এবং মহিলারা সমান, শাস্ত্র বিবাহের মধ্যে প্রত্যেককে সুন্রিদিষ্ট ভূমিকা দেয় I বাড়িতে স্বামীর নেতৃত্বকে মেনে নেওয়া হয় (1 করিন্থীয়ান 11:3); ইফিষীয় 5:23) I নেতৃত্বকে স্বেচ্ছাচারী, ঘৃণ্য, বা স্ত্রীর প্রতি পৃষ্ঠপোষক হওয়া উচিত নয়, তবে খ্রীষ্টের দৃষ্টান্ত অনুসারের মন্ডলীকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতন হওয়া উচিত I “স্বামীগণ তোমাদের স্ত্রীদের সেই রূপ ভালবাস, ঠিক যেমন খ্রীষ্ট মন্ডলীকে ভালোবেসেছেন এবং তাকে পবিত্র করতে তার জন্য নিজেকে দিয়েছেন, জল স্নান দ্বারা বাক্যের মাধ্যমে তাকে ধৌত করেন” (ইফিষীয় 5:25:26) I খ্রীষ্ট অনুকম্পা, করুণা, ক্ষমা, শ্রদ্ধা, এবং স্বার্থহীনতা সহকারে মন্ডলীকে (তাঁর লোকদের) প্রেম করলেন I এই একই ভাবে স্বামীদের তাদের স্ত্রীকে প্রেম করতে হবে I

স্ত্রীদের তাদের স্বামীদের কর্ত্তৃত্বের কাছে সমর্পণ করতে হবে I “স্ত্রীগণ, তোমাদের স্বামীদের কাছে প্রভুর মতন সমর্পণ কর I কারণ স্বামী স্ত্রীর মস্তক যেমন খ্রীষ্ট তাঁর দেহ স্বরূপ মন্ডলীর মস্তক, যার তিনি উদ্ধারকর্তা I এখন যেহেতু মন্ডলী খ্রীষ্টের কাছে সমর্পণ করে, সেইরকম ভাবে স্ত্রীদেরও সমস্ত কিছুতে তাদের স্বামীদের কাছে সমর্পণ করা উচিত” (ইফিষীয় 5:22-24) I যদিও মহিলাদের তাদের স্বামীদের কাছে সমর্পণ করা উচিত, বাইবেল আবারও বলে বিভিন্ন সময়ে পুরুষদের কিভাবে তাদের স্ত্রীদের সাথে আচরণ করা উচিত I স্বামীরা স্বেচ্ছাচারীর ভূমিকা গ্রহণ করবে না, কিন্তু তার স্ত্রী এবং তার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত I আসলে ইফিষীয় 5:28-29 পুরুষদের তাদের স্ত্রীদের ভালবাসতে সেই একই রূপে উপদেশ দেয় যেভাবে তারা তাদের দেহকে ভালবাসে, খাওয়ায়, এবং তাদের জন্য যত্ন করে I একজন পুরুষের প্রেম তার স্ত্রীর প্রতি ঠিক সেইরকম হওয়া উচিত যেমন খ্রীষ্টের প্রেম তাঁর দেহ, মন্ডলীর প্রতি হয় I

“স্ত্রীগণ, তোমাদের স্বামীদের বশীভূত হও, যেমন প্রভুতে উপযুক্ত I স্বামীগণ, তোমাদের স্ত্রীদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি কঠোর হয়ো না” (কলসীয় 3:18-19) I ‘স্বামীগণ, একইভাবে স্ত্রীলোকদের সাথে বাস করার সময়ে বিবেচক হও এবং দুর্বল পাত্র হিসাবে শ্রদ্ধাপূর্বক তাদের সাথে আচরণ কর এবং তাদেরকে নিজেদের সাথে জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিনী জেনে সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়” (1 পিতর 3:7) I এই পদগুলি থেকে আমরা দেখি যে প্রেম ও শ্রদ্ধা স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের ভূমিকাকে চিহ্নিত করে I এগুলি যদি উপস্থিত থাকে, তবে কর্ত্তৃত্ব, নেতৃত্ব, প্রেম এবং সমর্পণ যে কোনো পাত্রের পক্ষে সমস্যা হবে না I

বাড়ির নধ্যে দায়িত্ব সমূহের বিভাজন সম্পর্কে, বাইবেল স্বামীদের তাদের পরিবারের জন্য সরবরাহ করতে নির্দেশ দেয় I এর অর্থ তিনি কাজ করবেন এবং তার স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য জীবনের সমস্ত চাহিদাগুলিকে পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ করতে যথেষ্ট পরিমানে অর্থ উপার্জন করবেন I এইরকম করতে ব্যর্থ হওয়ার নির্দিষ্টভাবে আত্মিক পরিণাম আছে I “কেউ যদি তার আত্মীয়দের জন্য, এবং বিশেষত তার নিজ পরিজনদের জন্য চিন্তা না করে, তিনি বিশ্বাসকে অস্বীকার করেন এবং অবিশ্বাসীদের চেয়ে অধম হন” (1 তীমথিয় 5:8) I সুতরাং একজন পুরুষ তার পরিবারের জন্য সরবরাহ করতে যদি কোনো প্রচেষ্টা না করে তবে কাকে প্রকৃতরূপে একজন খ্রীষ্টান বলা যায় না I এর অর্থ এই নয় যে স্ত্রী পরিবারকে সাহায্য করতে সহায়তা করতে পারে না – হিতোপদেশ 31 প্রদর্শন করে যে একজন ধর্মী স্ত্রী অবশ্যই সেইরকম করতে পারে – কিন্তু পরিবারের জন্য সরবরাহ করা তার প্রাথমিক সায়িত্ব নয়; এটি তার স্বামীর I যদিও একজন স্বামীর সন্তান এবং পরিবারের কাজে সাহায্য করা উচিত (এর দ্বারা তার স্ত্রীকে ভালবাসতে তার কর্তব্য পূরণ করা), হিতোপদেশ 31 আবারও স্পষ্ট করে যে বাড়িতে প্রভাব এবং দায়িত্ব মহিলার প্রাথমিক ক্ষেত্র I এমনকি যদি তাকে অবশ্যই দেরীতে থাকতে হয় এবং তাড়াতাড়ি উঠতে হয়, তবে তার পরিবারের ভালো যত্ন নেওয়া হয় I অনেক মহিলাদের পক্ষে এটি সহজ জীবন শৈলী নয় – বিশেষত পাশ্চাত্যের প্রাচুর্যময় জাতিগুলির মধ্যে I যাইহোক, খুব বেশি মহিলাদের চাপ দেওয়া হয় এবং চাপে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় I এই জাতীয় চাপকে প্রতিরোধ করতে, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের প্রার্থনাপূর্বক তাদের প্রাথমিকতার নিবেশক হওয়া এবং তাদের ভূমিকা সম্বন্ধে বাইবেলের নির্দেশগুলিকে অনুসরণ করা উচিত I

একটি বিবাহের মধ্যে শ্রমের বিভাজন সম্পর্কে দ্বন্দ ঘটতে আবদ্ধ, তবে উভয় পাত্র যদি খ্রীষ্টের প্রতি সমর্পিত হয়, এই দ্বন্দগুলি সর্বনিম্ন হবে I কোনো দম্পতি যদি এই বিষয়ের উপরে বিতর্কগুলিকে ঘন ঘন এবং প্রচন্ড হতে দেখে, বা বিতর্কগুলি যদি বিবাহকে প্রভেদ করে বলে মনে হয়, তবে সমস্যাটি আত্মিক I এই ধরণের একটি দৃষ্টান্তে, পাত্রদের প্রথমে প্রার্থনা এবং খ্রীষ্টের কাছে সমর্পণ করতে হবে, তারপরে একে অপরের কাছে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার মনোভাব পোষণ করা উচিত I

[English]



[বাংলা হোম পেজে ফিরে যান]

একটি পরিবারের মধ্যে পিতামাতার ভূমিকা কি?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.