ওয়েবসাইট থেকে এমন একটি পণ্য খরিদ করা যে পণ্যের বিবরণীতে আল্লাহ্‌র শানে বিদ্রূপ করা হয়েছে

প্রশ্ন ইলেকট্রনিক ওয়েবসাইট থেকে এমন কোন পণ্যের অর্ডার দেয়া জায়েয হবে কি, যে পণ্যের বিবরণীতে আল্লাহ্‌র শানে বিদ্রুপাত্মক কথা আছে? ইলেকট্রনিক ওয়েবসাইট থেকে এমন কোন পণ্যের অর্ডার দেয়া জায়েয হবে কি, যে পণ্যের বিবরণীতে আল্লাহ্‌র শানে বিদ্রুপাত্মক কথা আছে? আলহামদু লিল্লাহ।. যদি এ পণ্যের উপর কাফেরদের কোন নিদর্শন থাকে যেমন- ক্রুশ; কিংবা কোন কুফরি কথা…

প্রশ্ন

ইলেকট্রনিক ওয়েবসাইট থেকে এমন কোন পণ্যের অর্ডার দেয়া জায়েয হবে কি, যে পণ্যের বিবরণীতে আল্লাহ্‌র শানে বিদ্রুপাত্মক কথা আছে?

ইলেকট্রনিক ওয়েবসাইট থেকে এমন কোন পণ্যের অর্ডার দেয়া জায়েয হবে কি, যে পণ্যের বিবরণীতে আল্লাহ্‌র শানে বিদ্রুপাত্মক কথা আছে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

যদি এ পণ্যের উপর কাফেরদের কোন নিদর্শন থাকে যেমন- ক্রুশ; কিংবা কোন কুফরি কথা লেখা থাকে যেমন- আল্লাহ্‌ তাআলার শানে বিদ্রূপ– এমন পণ্য বেচা-কেনা করা জায়েয হবে না। কেননা এতে রয়েছে কুফরির বিস্তার এবং কাফেরদেরকে তাদের কুফরি বিস্তারে সহযোগিতা করা। কর্তব্য হচ্ছে– এ অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করা। তা না পারলে অন্ততঃ এ পণ্য বর্জন করা।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এ ওয়েবসাইটের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরে ইতিপূর্বে পেশ করা হয়েছে। দেখুন: 126602 নং, 47060 নং ও 112052 নং প্রশ্নোত্তর।

আর যদি পণ্যটি কুফরি নিদর্শন বা কুফরি কথা থেকে মুক্ত হয়, বরং পণ্যটির বিবরণীতে কুফরি কথা লেখা থাকে সেক্ষেত্রেও এ পণ্যটি বর্জন করা অগ্রগণ্য অভিমত হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। যাতে করে, এই বিদ্রূপকারীকে একটা শিক্ষা দেয়া যায়; এবং সাধ্যানুযায়ী এর প্রতিবাদ করাও আবশ্যকীয়।

সমুচিত হবে, তাকে জানিয়ে দেয়া যে, তার এই বিদ্রুপের কারণে মানুষ তার পণ্য খরিদ করছে না। এতে করে সে হয়তো এই কথাগুলো সরিয়ে নিবে। কেননা এ সমস্ত লোকেরা শুধু বস্তুর গোলামি করে বেড়ায় এবং যে কোন মাধ্যমে বস্তু হাছিলের চেষ্টা করে থাকে। কিন্তু, কখনও কখনও তাদের উপর হিংসা ও বিদ্বেষ প্রভাবশালী হয়ে উঠে। তখন তারা এ ধরণের কাণ্ড করে বসে। কিংবা এর মাধ্যমে তারা নাস্তিকদেরকে তাদের পণ্য কেনার প্রতি আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে।

সুতরাং আল্লাহ্‌র বান্দাদের এ ধরণের কাফেরের পণ্যের কোন প্রয়োজন নেই। খোঁজ নিলে এ ধরণের অন্য পণ্য পাওয়া যাবে কিংবা অন্য কারো কাছে এর চেয়ে ভাল পণ্যও পাওয়া যেতে পারে। দ্বীনি স্বার্থ, দ্বীনের প্রতি উৎকণ্ঠা ও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অন্য সকল স্বার্থের উপর প্রাধান্যযোগ্য।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *