কতটুকু দূরত্বে সফর করলে নামায কসর করা বৈধ

প্রশ্ন আমি যদি জানি যে, আমি (সফর থেকে) ফিরতে দেরী করব, সেক্ষেত্রে কি নামায কসর করে পড়া যাবে? যে সফরের মধ্যে আমার জন্য নামায কসর করা ও দুই ওয়াক্তের নামায এক ওয়াক্তে একত্রে আদায় করা জায়েয সে সফরের দূরত্ব ৮০ কিঃমিঃ (যাওয়া-আসা) নাকি শুধু যাওয়া? আমি যদি জানি যে, আমি (সফর থেকে) ফিরতে দেরী করব,…

প্রশ্ন

আমি যদি জানি যে, আমি (সফর থেকে) ফিরতে দেরী করব, সেক্ষেত্রে কি নামায কসর করে পড়া যাবে? যে সফরের মধ্যে আমার জন্য নামায কসর করা ও দুই ওয়াক্তের নামায এক ওয়াক্তে একত্রে আদায় করা জায়েয সে সফরের দূরত্ব ৮০ কিঃমিঃ (যাওয়া-আসা) নাকি শুধু যাওয়া?

আমি যদি জানি যে, আমি (সফর থেকে) ফিরতে দেরী করব, সেক্ষেত্রে কি নামায কসর করে পড়া যাবে? যে সফরের মধ্যে আমার জন্য নামায কসর করা ও দুই ওয়াক্তের নামায এক ওয়াক্তে একত্রে আদায় করা জায়েয সে সফরের দূরত্ব ৮০ কিঃমিঃ (যাওয়া-আসা) নাকি শুধু যাওয়া?

আলহামদু লিল্লাহ।.

যে সফরের মধ্যে সফরকালীন রুখসত বা ছাড় গ্রহণ করা শরিয়ত অনুমোদিত সে সফর হচ্ছে প্রচলিত অর্থে যেটাকে সফর বা ভ্রমণ হিসেবে গণ্য করা হয়। বলা যায় এর দূরত্ব প্রায় ৮০ কিঃমিঃ। যে ব্যক্তি এ পরিমাণ বা তদুর্ধ্ব দূরত্বে (শুধু যাওয়া) ভ্রমণ করবে তার জন্যে সফরকালীন ছাড়গুলো গ্রহণ করা জায়েয; যেমন- তিনদিন তিনরাত মোজার উপর মাসেহ করা, নামাযগুলো চার রাকাতের বদলে দুই রাকাত (কসর) করে এবং দুই ওয়াক্তের নামায এক ওয়াক্তে একত্রে আদায় করা, রমযানের রোযা না-রাখা।

মুসাফির ব্যক্তি যে স্থানের উদ্দেশ্যে সফর করেছেন সে স্থানে পৌঁছে যদি সেখানে চারদিনের বেশি সময় অবস্থান করার নিয়ত করেন তাহলে তিনি সফরকালীন ছাড়গুলো গ্রহণ করবেন না। আর যদি চারদিন বা তার চেয়ে কম সময় অবস্থান করার নিয়ত করেন তাহলে তিনি সফরকালীন ছাড়গুলো গ্রহণ করতে পারেন।

আর যে মুসাফির কোন একটি স্থানে অবস্থান করছেন; কিন্তু তিনি জানেন না যে, কখন তার প্রয়োজন শেষ হবে এবং তিনি অবস্থানের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন সময় নির্ধারণ করেননি; এভাবে তিনি যদি দীর্ঘদিন সেখানে থেকে যান তবুও তিনি সফরকালীন ছাড়গুলো গ্রহণ করতে পারবেন।

সারকথা: আপনার নামায কসর করে পড়ার জন্য শর্ত হচ্ছে, ভ্রমণের দূরত্ব ৮০ কিঃমিঃ এর কম না হওয়া। যদি উদ্দিষ্ট স্থানে আপনি চারদিনের বেশি সময় অবস্থান করেন তাহলে নামাযগুলো পূর্ণ সংখ্যায় (চার রাকাত) আদায় করবেন।

আর দুই ওয়াক্তের নামায (জোহর ও আসর) (মাগরিব ও এশা) একত্রে আদায় করা এটি মুসাফিরের জন্য জায়েয। এটি মুকীমের জন্যেও জায়েয হতে পারে, যদি নির্ধারিত ওয়াক্তে নামায আদায় করা কোন মুকীমের জন্যে কষ্টকর হয়ে যায়– রোগের কারণে, কিংবা এমন কাজের কারণে যে কাজ পরে করা সম্ভবপর নয় (যেমন ছাত্রের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ, ডাক্তার কর্তৃক অপারেশন করা ইত্যাদি।

আরও জানতে 97844 নং প্রশ্নোত্তর পড়ুন।

আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.