করোনা (কোভিড-১৯) এর টীকা তৈরীতে গর্ভপাতকৃত ভ্রূণের কোষ ব্যবহৃত হলে এমন টীকা নেয়ার হুকুম কী?

প্রশ্ন কোভিড-১৯ এর দুটো টীকার একটিতে (কিংবা উভয়টিতে) গর্ভপাতকৃত ভ্রূণ থেকে গৃহীত টিস্যু ব্যবহার করা হয়। এমন টীকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে? কোভিড-১৯ এর দুটো টীকার একটিতে (কিংবা উভয়টিতে) গর্ভপাতকৃত ভ্রূণ থেকে গৃহীত টিস্যু ব্যবহার করা হয়। এমন টীকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে? আলহামদু লিল্লাহ।. এক: টীকাতে মাতৃকোষ ব্যবহার করার হুকুম চিকিৎসা ক্ষেত্রে…

প্রশ্ন

কোভিড-১৯ এর দুটো টীকার একটিতে (কিংবা উভয়টিতে) গর্ভপাতকৃত ভ্রূণ থেকে গৃহীত টিস্যু ব্যবহার করা হয়। এমন টীকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে?

কোভিড-১৯ এর দুটো টীকার একটিতে (কিংবা উভয়টিতে) গর্ভপাতকৃত ভ্রূণ থেকে গৃহীত টিস্যু ব্যবহার করা হয়। এমন টীকা গ্রহণ করা কি জায়েয হবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

টীকাতে মাতৃকোষ ব্যবহার করার হুকুম

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও টীকাতে মাতৃকোষ ব্যবহার করতে কোন আপত্তি নেই; যদি এর উৎস বৈধ হয়। যেমন- প্রাকৃতিকভাবে পড়ে যাওয়া ভ্রূণসমূহ কিংবা শরিয়তের অনুমোদন সাপেক্ষে পিতামাতার অনুমতিক্রমে পাতকৃত ভ্রূণসমূহ।

আর উৎস হারাম হলে মাতৃকোষ গ্রহণ করা ও ব্যবহার করা হারাম। যেমন- শরিয়তের অনুমোদনবিহীন ইচ্ছাকৃতভাবে পাতকৃত ভ্রূণ থেকে হলে কিংবা কোষ গ্রহণ করার জন্য কোন দাতা নারীর ডিম্বানু ও দাতা পুরুষের শুক্রাণুর মাধ্যমে উৎপাদিত ভ্রূণ থেকে টীকা তৈরী করা হলে।

এ বিষয়টি ২০০৩ সালে পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত রাবেতা আলমে ইসলামী-এর অধিভুক্ত ‘আন্তর্জাতিক ফিকাহ একাডেমী’-র “মাতৃকোষ স্থানান্তর ও উৎপাদন” শীর্ষক ১৪তম অধিবেশনের সিদ্ধান্তে সবিস্তারে এসেছে। ইতিপূর্বে “মাতৃকোষের হুকুম” শীর্ষক 108125 নং প্রশ্নোত্তরে তা উল্লেখ করা হয়েছে। সে উত্তরটি ও একাডেমীর বিস্তারিত সিদ্ধান্ত পড়ে নেয়া জরুরী।

দুই:

টীকা নেয়ার হুকুম:

ফিকাহ একাডেমীর পূর্বোক্ত সিন্ধান্তে এসেছে যে:

সমস্ত দেশের উপর ভ্রূণের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষগুলো পাওয়ার জন্য ভ্রূণপাত প্রতিহত করা আবশ্যকীয়। বেআইনীভাবে যে কোষ গ্রহণ করা হয়েছে সেটি ব্যবহার করা বৈধ নয় এবং তাদের সাথে কোষ-ব্যাংকে অংশ গ্রহণ করাও বৈধ নয়। বরং দ্বীনদারির ক্ষেত্রে আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানসমূহ এ দায়িত্ব নেয়া আবশ্যক। এ কোষগুলো সংগ্রহ করতে হবে শরয়ি পন্থায়। এরপর যার প্রয়োজন তার শরীরে কোষটি স্থাপন করা হবে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও: যদি এ টীকা তৈরীতে গর্ভপাতকৃত ভ্রূণের কোষ ব্যবহার করা হয়; অথচ আমরা তো জানিনা যে, গর্ভপাতটি প্রাকৃতিক ছিল; নাকি শরিয়তের অনুমোদন সাপেক্ষে ইচ্ছাকৃত ছিল; নাকি অনুমোদনবিহীনভাবে পাত করা হয়েছে। তদুপরি অগ্রগণ্য মতানুযায়ী এমন টীকা গ্রহণ করা জায়েয হবে। যেহেতু এর উৎস হারাম মর্মে কোন নিশ্চিত জ্ঞান নেই। মূল অবস্থা হল: হালাল হওয়া।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.