কর্মচাঞ্চল্য লাভের জন্য রোযা রেখে তুর্কি কফি নাক দিয়ে টেনে নেয়ার হুকুম

প্রশ্ন রমযানের দিনের বেলায় তুর্কি কফি নাক দিয়ে টেনে নেয়ার শরয়ি হুকুম কি? কেননা এই কফি আমাকে কাজে উদ্যোম যোগায়। আমি এই তুর্কি কফি নাক দিয়ে টানলে শরীরে শক্তি অনুভব করি। নচেৎ আমি অবসন্নতা, ঘুম ঘুম ভাব ও কর্মহীনতা অনুভব করি। রমযানের দিনের বেলায় তুর্কি কফি নাক দিয়ে টেনে নেয়ার শরয়ি হুকুম কি? কেননা এই…

প্রশ্ন

রমযানের দিনের বেলায় তুর্কি কফি নাক দিয়ে টেনে নেয়ার শরয়ি হুকুম কি? কেননা এই কফি আমাকে কাজে উদ্যোম যোগায়। আমি এই তুর্কি কফি নাক দিয়ে টানলে শরীরে শক্তি অনুভব করি। নচেৎ আমি অবসন্নতা, ঘুম ঘুম ভাব ও কর্মহীনতা অনুভব করি।

রমযানের দিনের বেলায় তুর্কি কফি নাক দিয়ে টেনে নেয়ার শরয়ি হুকুম কি? কেননা এই কফি আমাকে কাজে উদ্যোম যোগায়। আমি এই তুর্কি কফি নাক দিয়ে টানলে শরীরে শক্তি অনুভব করি। নচেৎ আমি অবসন্নতা, ঘুম ঘুম ভাব ও কর্মহীনতা অনুভব করি।

আলহামদু লিল্লাহ।.

যদি প্রশ্নের দ্বারা উদ্দেশ্য হয় কিছু কফি নাক দিয়ে টেনে নেয়া; তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কেননা এটি মস্তিস্কে চলে যাবে; যা অনেক ফিকাহবিদদের কাছে রোযা ভঙ্গকারী। যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর কিছু অংশ পাকস্থলিতে চলে যায়। এবং যেহেতু এর দ্বারা খাদ্যের মত শক্তি লাভ হয়; যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘কাশ্‌শাফুল ক্বিনা’ গ্রন্থে (২/৩১৮) বলেন: “কিংবা নাক দিয়ে কোন তেল বা অন্য কিছু টেনে নেয়; ফলে সেটি গলাতে বা মস্তিস্কে পৌঁছে যায়। আল-কাফীতে বলা হয়েছে: কিংবা নাসিকা ছিদ্রে পৌঁছে যায়; তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোযাদারকে নাকের ভেতরে প্রকৃষ্টভাবে পানি দিতে বারণ করেছেন। এবং যেহেতু মস্তিস্কে খালি জায়গা রয়েছে এবং যা কিছু সেখানে পৌঁছে সেটা পরিপুষ্ট করে। তাই দেহের খালি জায়গার মত সেটাও রোযাকে নষ্ট করবে।”[সমাপ্ত]

আর যদি প্রশ্নের উদ্দেশ্য হয় কফির গন্ধ শুঁকা; নাক দিয়ে কোন কিছু টেনে নেয়া নয়; তাহলে এটি রোযা নষ্ট করবে না। যেহেতু গন্ধের কোন অবয়ব নাই।

স্থায়ী কমিটির ফতোয়াতে (১০/২৭১) এসেছে:

“রোযা রেখে রমযানের দিনের বেলায় যে কোন ধরণের সুগন্ধি লাগালে রোযা নষ্ট হবে না। কিন্তু কোন বুখুর (ধুপধুনো) বা সুগন্ধি পাউডার (যেমন মিসকের পাউডার) নাক দিয়ে টেনে নিবে না।”[সমাপ্ত]

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: রমযানের দিনের বেলায় রোযাদারের সুগন্ধি ঘ্রাণ ব্যবহার করার হুকুম কি?

তিনি জবাব দেন: “রমযানের দিনের বেলায় এটি ব্যবহার করতে ও শুঁকতে কোন অসুবিধা নাই। তবে বুখুর (ধুপধুনো) নাক দিয়ে টেনে নিবে না। যেহেতু এর এমন অবয়ব রয়েছে যা পাকস্থলিতে পৌঁছে যায়; আর তা হলো ধোঁয়া।”[ফাতাওয়া রমাদান (পৃষ্ঠা-৪৯৯) থেকে সমাপ্ত]

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.