খ্রীষ্টিয়ান কি?

প্রশ্ন খ্রীষ্টিয়ান কি? উত্তর আভিধানিক অর্থে, ‘একজন ব্যক্তি, যিনি যীশুকে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করেছেন, অথবা যিনি যীশুর শিক্ষাকে ধর্মের ভিত্তি মনে করেন’, তিনিই একজন খ্রীষ্টিয়ান। অন্যান্য আভিধানিক সূত্রের মত এভাবে শুরু করা যেতে পারে, তবে বাইবেলের সত্যকে সঠিক যোগাযোগের জন্য খ্রীষ্টিয়ান হওয়া মানে বুঝাতে এটা খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর। নতুন নিয়মে মাত্র তিনবার ‘খ্রীষ্টিয়ান’ শব্দটি ব্যবহার…

প্রশ্ন

খ্রীষ্টিয়ান কি?

উত্তর

আভিধানিক অর্থে, ‘একজন ব্যক্তি, যিনি যীশুকে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করেছেন, অথবা যিনি যীশুর শিক্ষাকে ধর্মের ভিত্তি মনে করেন’, তিনিই একজন খ্রীষ্টিয়ান। অন্যান্য আভিধানিক সূত্রের মত এভাবে শুরু করা যেতে পারে, তবে বাইবেলের সত্যকে সঠিক যোগাযোগের জন্য খ্রীষ্টিয়ান হওয়া মানে বুঝাতে এটা খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর। নতুন নিয়মে মাত্র তিনবার ‘খ্রীষ্টিয়ান’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে (প্রেরিত ১১:২৬; ২৬:২৮; ১ পিতর ৪:১৬)। আন্তিয়খিয়াতে যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণকারীদের প্রথম ‘খ্রীষ্টিয়ান’ বলে ডাকা হয়েছিল (প্রেরিত ১১:২৬), কারণ তাদের আচার-আচরণ, কাজ এবং কথাবার্তা ছিল খ্রীষ্টের মতন। আক্ষরিক অর্থে ‘যারা যীশু খ্রীষ্টের দলের’ বা ‘যারা খ্রীষ্টের অনুসারী’, তারাই হচ্ছে ‘খ্রীষ্টিয়ান’।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, সময়ের সাথে সাথে ‘খ্রীষ্টিয়ান’ শব্দটির অর্থ এবং গুরুত্ব অনেকাংশে হারিয়ে গেছে। এমন কি যারা ধার্মিক এবং উঁচু মাত্রার নৈতিকতা মেনে চলে, তাদের মধ্যেও যীশু খ্রীষ্টের সত্যিকার অনুসারী থাকতেও পারে বা নাও পারে। অনেক লোকই যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস বা নির্ভর করে না, কিন্তু সাধারণভাবে গীর্জায় যায়, অথবা একটা ‘খ্রীষ্টিয়ান’ দেশে বাস করে বলে মনে করে তারা ‘খ্রীষ্টিয়ান’। কিন্তু গীর্জায় গেলে বা আপনার চেয়ে দুর্ভাগ্য কারও সেবা করলে অথবা ভাল লোক হলেই আপনি একজন খ্রীষ্টিয়ান হয়ে যাবেন না। গীর্জায় গেলেই আপনি একজন খ্রীষ্টিয়ান হতে পারেন না, ঠিক যেমন মটোর গাড়ীর গ্যারাজে গেলেই আপনি মটোর গাড়ী তৈরী করতে পারেন না। একটা গীর্জার সদস্য হলে, নিয়মিত গীর্জায় গেলে এবং গীর্জার কাজে দান করলেও আপনি একজন খ্রীষ্টিয়ান হয়ে যাবেন না।

পবিত্র বাইবেল শিক্ষা দেয় যে, ভাল কাজ করলেই আমরা ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারি না। তীত ৩:৫ পদ বলে, “কোন সৎ কাজের জন্য তিনি আমাদের উদ্ধার করেন নি, তাঁর করুণার জন্যই তা করলেন। পবিত্র আত্মার দ্বারা নতুন জন্ম দান করে ও নতুন ভাবে সৃষ্টি করে তিনি আমাদের অন্তর ধুয়ে পরিষ্কার করলেন, আর এইভাবেই তিনি আমাদের উদ্ধার করলেন।” তাই, খ্রীষ্টিয়ান মানে এমন একজন, যে ঈশ্বরের দ্বারা নতুন জন্ম লাভ করেছে (যোহন ৩:৩; ৩:৭; ১ পিতর ১:২৩) এবং যে যীশু খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস ও নির্ভর করছে। ইফিষীয় ২:৮ পদ আমাদের বলে, “ঈশ্বরের দয়ায় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে তোমরা পাপ থেকে উদ্ধার পেয়েছ। এটা তোমাদের নিজেদের দ্বারা হয় নি, তা ঈশ্বরেরই দান।”

একজন ব্যক্তি সত্যিকার যীশু খ্রীষ্টকে ও তাঁর কাজকে এবং সেই সাথে তার পাপের বেতন (জরিমানা) দেবার জন্য যীশুর ক্রুশে মৃত্যুবরণ এবং তৃতীয় দিনে তাঁর পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছে, সে-ই একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান। যোহন ১:১২ পদ আমাদের বলেছে, “তবে যতজন তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহণ করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন।” অন্যদের প্রতি ভালবাসা এবং ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি বাধ্যতা হচ্ছে একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ানের চিহ্ন (১ যোহন ২:৪, ১০)। বস্তুত একজন প্রকৃত খ্রীষ্টিয়ান ঈশ্বরের একজন সন্তান, সত্যিকারভাবে ঈশ্বরের পরিবারের অংশ এবং যাকে যীশু খ্রীষ্টে নতুন জীবন দেওয়া হয়েছে।

এগুলো পড়ে আপনি কি খ্রীষ্টের পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন? যদি নিয়ে থাকেন, তাহলে, ‘আমি আজকে খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছি’ লেখা নীচের বোতামে টিক চিহ্ন দিন।

[English]



[বাংলা হোম পেজে ফিরে যান]

খ্রীষ্টিয়ান কি?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.