ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত রোগী রমযানের রোযার ক্ষেত্রে কী করবেন?

প্রশ্ন কোন মুসলিম সুস্থ থাকা সত্ত্বেও রমযানের যে দিনগুলোর রোযা ভেঙ্গেছেন সে রোযাগুলোর কি ফিদিয়া দিতে পারবেন? যেহেতু তিনি ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত। তিনি কি একজন মিসকীনকে একবার খাওয়াবেন; নাকি দুইবার? তিনি দেশের বাইরে থাকেন। এক মাসের ছুটিতে নিজ দেশে এসেছেন। কোন মুসলিম সুস্থ থাকা সত্ত্বেও রমযানের যে দিনগুলোর রোযা ভেঙ্গেছেন সে রোযাগুলোর কি…

প্রশ্ন

কোন মুসলিম সুস্থ থাকা সত্ত্বেও রমযানের যে দিনগুলোর রোযা ভেঙ্গেছেন সে রোযাগুলোর কি ফিদিয়া দিতে পারবেন? যেহেতু তিনি ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত। তিনি কি একজন মিসকীনকে একবার খাওয়াবেন; নাকি দুইবার? তিনি দেশের বাইরে থাকেন। এক মাসের ছুটিতে নিজ দেশে এসেছেন।

কোন মুসলিম সুস্থ থাকা সত্ত্বেও রমযানের যে দিনগুলোর রোযা ভেঙ্গেছেন সে রোযাগুলোর কি ফিদিয়া দিতে পারবেন? যেহেতু তিনি ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত। তিনি কি একজন মিসকীনকে একবার খাওয়াবেন; নাকি দুইবার? তিনি দেশের বাইরে থাকেন। এক মাসের ছুটিতে নিজ দেশে এসেছেন।

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারের রোগীরা সবাই একই স্তরের নয়। বরং ডাক্তারেরা তাদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ আছেন ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক চললে নিরাপদে রোযা রাখতে পারেন। আর কেউ আছেন রোযা রাখতে পারেন না।

তবে, কারো যদি ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার একত্রে থাকে সেক্ষেত্রে ঐ রোগীর জন্য রোযা রাখা অধিকতর কঠিন হয়ে যায়।

উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, এ রোগীর ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং ডাক্তারের উপদেশ মোতাবেক রোযা রাখা বা ভাঙ্গা উচিত। কারণ সব ধরণের রোগের জন্য রোযা ভাঙ্গার অনুমতি নেই। যেমনটি ইতিপূর্বে 1319 নং প্রশ্নোত্তরে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুই:

যেহেতু ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার স্থায়ী রোগ (Chronic diseases) তাই এ রোগদ্বয়ের কারণে যে রোগী রোযা ভাঙ্গেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি সে রোযার কাযা আর কখনও পালন করতে পারবেন না। সে কারণে তার উপর ফরয হচ্ছে- প্রতিদিনের রোযা ভাঙ্গার বদলে একজন মিসকীনকে খাওয়ানো; তাকে কাযা পালন করতে হবে না।

“খাওয়ানো” দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে এক বেলার খাবার খাওয়ানো। অসুস্থ ব্যক্তির এ স্বাধীনতা রয়েছে যে, তিনি নিজে খাবার প্রস্তুত করে মিসকীনকে ডেকে খাইয়ে দিতে পারেন, কিংবা রান্না করা বা কাঁচা খাবার তাকে দিয়ে দিতে পারেন। এ তিনটির কোন একটি করলে একজন মিসকীন খাওয়ানো হল এবং তিনি তার উপর আবশ্যকীয় আমলটি পালন করলেন। ইতিপূর্বে 49944 নং ও 101100 নং প্রশ্নোত্তরে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.