তার বোন ডাউন সিনড্রোম রোগে আক্রান্ত; রোযা না থাকার কারণে তার উপরে কি কাফ্‌ফারা ওয়াজিব হবে?

প্রশ্ন আমার এক বোন ‘ডাউন সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত। এক বছর যাবৎ সে বালেগ হয়েছে। সে রোযা রাখতে পারছে না। আমরা কি তার পক্ষ থেকে ফিদিয়া পরিশোধ করব? নাকি অন্য কিছু করা লাগবে? ফিদিয়ার পরিমাণ কত? আলহামদু লিল্লাহ।. এক: ডাউন সিনড্রোম এমন একটি রোগ যাতে শিশুরা আক্রান্ত হয়। এর ফলে মানুষের বুদ্ধিগত ও শারীরিক বিকাশে বিলম্ব…

প্রশ্ন

আমার এক বোন ‘ডাউন সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত। এক বছর যাবৎ সে বালেগ হয়েছে। সে রোযা রাখতে পারছে না। আমরা কি তার পক্ষ থেকে ফিদিয়া পরিশোধ করব? নাকি অন্য কিছু করা লাগবে? ফিদিয়ার পরিমাণ কত?

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

ডাউন সিনড্রোম এমন একটি রোগ যাতে শিশুরা আক্রান্ত হয়। এর ফলে মানুষের বুদ্ধিগত ও শারীরিক বিকাশে বিলম্ব ঘটে। এর বাহ্যিক লক্ষণগুলো হচ্ছে: চোখে টানা পড়া, ঘাড় ও হাতদ্বয় খর্বাকৃতি হওয়া, মাংসপেশি নরম হওয়া।

দুই:

রোযা ফরয হওয়ার শর্ত হচ্ছে- বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তিন শ্রেণীর লোক থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে: পাগল, যে বুদ্ধি বিকারগ্রস্ত যতক্ষণ না সে সম্বিত ফিরে পায়। ঘুমন্ত ব্যক্তি; যতক্ষণ না সে জেগে উঠে। বালক; যতক্ষণ না সে সাবালগ হয়।”[সুনানে আবু দাউদ (৪৩৯৯), আলবানী হাদিসটিকে ‘সহিহ সুনানে আবু দাউদ’ গ্রন্থে সহিহ বলেছেন]

যদি আপনার বোন বুদ্ধিগত বিলম্বের এমন পর্যায়ে থাকে যে, সে বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে পার্থক্য করতে না পারে, শরিয়তের নির্দেশ অনুধাবন করতে না পারে তাহলে এমতাবস্থায় তার উপরে রোযা পালন বা রোযার কাযা পালন কোনটাই ফরয নয় এবং আপনাদেরকেও তার পক্ষ থেকে ফিদিয়া পরিশোধ করতে হবে না। কেননা সে শরয়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়।

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) ‘আল-শারহুল মুমতি’ গ্রন্থে (৬/৩২৪) বলেন: “প্রত্যেক যে ব্যক্তির বুদ্ধি নেই সে মুকাল্লাফ (শরয়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত) নয়। তার উপর দ্বীনের ওয়াজিব আমলের কোন আমল ওয়াজিব নয়। নামায নয়, রোযা নয়, রোযার পরিবর্তে খাবার দেওয়াও নয়। অর্থাৎ তার উপরে কোন কিছুই ওয়াজিব নয়; তবে আর্থিক ওয়াজিবগুলোর মত কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া।”[সমাপ্ত]

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.