দুই রমজানের কাযা রোযা পালন না করে যার মা মারা গেছে

প্রশ্ন আমার মা মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকতে আমাকে বলে গেছেন যে,তার উপর দুই বছরের রমজান মাসের রোযা কাযা করা বাকি আছে। যখন রমজান মাস এসেছিল তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি কাযা পালন করে যেতে পারেননি । আমি কি তার পক্ষে রোযা আদায় করব, নাকি মিসকীন খাওয়াব? এই মিসকীন খাওয়ানোর পদ্ধতিটা কি?…

প্রশ্ন

আমার মা মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকতে আমাকে বলে গেছেন যে,তার উপর দুই বছরের রমজান মাসের রোযা কাযা করা বাকি আছে। যখন রমজান মাস এসেছিল তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি কাযা পালন করে যেতে পারেননি । আমি কি তার পক্ষে রোযা আদায় করব, নাকি মিসকীন খাওয়াব? এই মিসকীন খাওয়ানোর পদ্ধতিটা কি? আমি কি একটি ছাগল জবাই করে সেই গোস্ত ৬০টি বাড়িতে বণ্টন করে দিব, নাকি সেই খাবারের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দান করে দিব ?
আমার মা মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকতে আমাকে বলে গেছেন যে,তার উপর দুই বছরের রমজান মাসের রোযা কাযা করা বাকি আছে। যখন রমজান মাস এসেছিল তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি কাযা পালন করে যেতে পারেননি । আমি কি তার পক্ষে রোযা আদায় করব, নাকি মিসকীন খাওয়াব? এই মিসকীন খাওয়ানোর পদ্ধতিটা কি? আমি কি একটি ছাগল জবাই করে সেই গোস্ত ৬০টি বাড়িতে বণ্টন করে দিব, নাকি সেই খাবারের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দান করে দিব ?

আলহামদু লিল্লাহ।.

বেশি ভাল হয় যদি আপনি আপনার মায়ের পক্ষ থেকে রোযা পালন করতে পারেন। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ

متفق على صحته

“যে ব্যক্তি তার জিম্মায়রোযা পালন বাকি রেখে মারা গেছেন, তার পক্ষ থেকে তার ওলি (আত্মীয়-পরিজন) রোযা পালন করবে ।”[বুখারী ও মুসলিম ]

ওলি হচ্ছে- আত্মীয় স্বজন। যদি আপনার পক্ষে অথবা আপনি ছাড়া আপনার মায়ের অন্য কোন আত্মীয়ের পক্ষে রোযা পালন সম্ভবপর না হয়,তবে আপনি আপনার মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে অথবা আপনার সম্পদ থেকে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়াবেন। এর পরিমাণ হল- অর্ধ স্বা’ পরিমাণ স্থানীয় খাদ্যদ্রব্য। আর যদি আপনি হিসেব করে সব খাবার জমা করে একজন ফকিরকে দিয়ে দেন তাহলেও জায়েয হবে ।

আর আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।আল্লাহ্আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের উপর সালাত ( প্রশংসা ) ও সালাম (শান্তি) বর্ষণ করুন । ”সমাপ্ত

গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

শাইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায, শাইখ আব্দুর রায্‌যাক্ব আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন গুদাইয়ান ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.