পেশাব করার পর নিজের পোশাকের পবিত্রতার ব্যাপারে সন্দেহ হচ্ছে

প্রশ্ন আমি পড়াশুনার জন্য বিদেশে অবস্থানরত ছাত্র। আমি সারাদিন আমার কর্মস্থলে কাটিয়ে থাকি। যখন আমার পেশাব করার প্রয়োজন হয় তখন আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করি। সেটা এ কারণে যে, বসার স্থানে নাপাকি থাকতে পারে। তাছাড়া মানসিকভাবে আমি সেখানে বসাটাকে গ্রহণ করতে পারছি না। তবে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি যাতে করে পেশাবর ছিটা থেকে নিরাপদ থাকতে পারি।…

প্রশ্ন

আমি পড়াশুনার জন্য বিদেশে অবস্থানরত ছাত্র। আমি সারাদিন আমার কর্মস্থলে কাটিয়ে থাকি। যখন আমার পেশাব করার প্রয়োজন হয় তখন আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করি। সেটা এ কারণে যে, বসার স্থানে নাপাকি থাকতে পারে। তাছাড়া মানসিকভাবে আমি সেখানে বসাটাকে গ্রহণ করতে পারছি না। তবে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি যাতে করে পেশাবর ছিটা থেকে নিরাপদ থাকতে পারি। আমি পেশাব থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য টিস্যু পেপার ব্যবহার করি। (সতর্কতার সাথে) দাঁড়িয়ে পেশাব করার পরও পেশাবের বিন্দু বিন্দু যে ফোটা পায়জামাতে পড়ে থাকতে পারে সেটার হুকুম কি? এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া; আর ধারণা হওয়া দুই ক্ষেত্রের বিধান কি আলাদা? এক্ষেত্রে কি শুধু পানি ছিটিয়ে দেয়া যথেষ্ট; নাকি যে স্থানে পেশাবের ছিটা পড়েছে বলে ধারণা হয় সে স্থান মুছে ফেলতে হবে? এ সম্পর্কে বেশি বেশি প্রশ্ন করা কি ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ু?

আমি পড়াশুনার জন্য বিদেশে অবস্থানরত ছাত্র। আমি সারাদিন আমার কর্মস্থলে কাটিয়ে থাকি। যখন আমার পেশাব করার প্রয়োজন হয় তখন আমি দাঁড়িয়ে পেশাব করি। সেটা এ কারণে যে, বসার স্থানে নাপাকি থাকতে পারে। তাছাড়া মানসিকভাবে আমি সেখানে বসাটাকে গ্রহণ করতে পারছি না। তবে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি যাতে করে পেশাবর ছিটা থেকে নিরাপদ থাকতে পারি। আমি পেশাব থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য টিস্যু পেপার ব্যবহার করি। (সতর্কতার সাথে) দাঁড়িয়ে পেশাব করার পরও পেশাবের বিন্দু বিন্দু যে ফোটা পায়জামাতে পড়ে থাকতে পারে সেটার হুকুম কি? এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া; আর ধারণা হওয়া দুই ক্ষেত্রের বিধান কি আলাদা? এক্ষেত্রে কি শুধু পানি ছিটিয়ে দেয়া যথেষ্ট; নাকি যে স্থানে পেশাবের ছিটা পড়েছে বলে ধারণা হয় সে স্থান মুছে ফেলতে হবে? এ সম্পর্কে বেশি বেশি প্রশ্ন করা কি ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ু?

আলহামদু লিল্লাহ।.

সুন্নত হচ্ছে- বসে পেশাব করা। যদি কেউ দাঁড়িয়ে পেশাব করে তাতে কোন অসুবিধা নেই; যদি সে ব্যক্তি কাপড় ও পোশাককে নাপাকি থেকে বাঁচাতে পারে।

যদি কেউ দাঁড়িয়ে পেশাব করার পর নিশ্চিত হয় যে, তার কাপড়ে পেশাব লেগেছে তাহলে পেশাব লাগার স্থানটি ধুয়ে ফেলা আবশ্যক। নাপাকির স্থানে পানি ছিটিয়ে দেয়া কিংবা মুছে ফেলা যথেষ্ট নয়। বরং আবশ্যক হল ধুয়ে ফেলা ও পানি প্রবাহিত করা।

যদি কেউ সন্দেহ করে যে, তার কাপড়ে কি পেশাব লেগেছে; নাকি লাগেনি; সেক্ষেত্রে কাপড় ধৌত করা তার উপর আবশ্যকীয় নয়। কেননা মূল অবস্থা হচ্ছে- পোশাকের পবিত্রতা; যতক্ষণ পর্যন্ত না পোশাকে নাপাকি লাগার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।

স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন: যদি আপনি পেশাবের ফোটা পড়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন তাহলে ইস্তিনজা (পেশাব থেকে শৌচ করা), প্রত্যেক নামাযের জন্য ওযু করা এবং পোশাকের যে স্থানে পেশাব লেগেছে সে স্থান ধৌত করা আবশ্যক। আর যদি সন্দেহ হয় সেক্ষেত্রে তার উপর সেটা আবশ্যক নয়। তবে, সন্দেহকে এড়িয়ে চলা উচিত; যাতে করে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত হয়ে না পড়ে।[সমাপ্ত]

[ফাতাওয়াল লাজনাহ আ-দায়িমা (৫/১০৬)]

মানুষ তার দ্বীনের উপকারী বিষয়ে প্রশ্ন করতে দোষের কিছু নেই, এটি ওয়াসওয়াসা নয়। বরং এটি হচ্ছে- পরিপূর্ণভাবে দ্বীন পালনের চেষ্টা ও ভাল কাজের ব্যাপারে আগ্রহ।

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে ও আপনাকে সকল ভাল কাজের তাওফিক দেন। নিশ্চয় তিনি সে ক্ষমতা রাখেন।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.