বিশেষভাবে ঈসা আলাইহিস সালামকে আকাশে তুলে নেয়া হল কেন?
প্রশ্ন প্রশ্ন: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠ নবী হলে ঈসা আলাইহিস সালাম এর বদলে তাঁকে আকাশে তুলে নেয়া হল না কেন? অন্য নবীদেরকে আকাশে না তুলে শুধুমাত্র ঈসা আলাইহিস সালামকে তুলে নেয়া হল কেন? আলহামদু লিল্লাহ।. নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রহমত ও জ্ঞান দিয়ে সবকিছুকে বেষ্টন করে আছেন। সবকিছুই তাঁর ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধীন।…
প্রশ্ন
আলহামদু লিল্লাহ।.
নিশ্চয়
আল্লাহ্
তাআলা তাঁর
রহমত ও জ্ঞান
দিয়ে সবকিছুকে
বেষ্টন করে
আছেন।
সবকিছুই তাঁর
ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের
অধীন। তাঁর
রয়েছে
পরিপূর্ণ
প্রজ্ঞা, কার্যকরী
ইচ্ছাশক্তি ও
ব্যাপক
ক্ষমতা। তিনি
মানুষদের
মধ্যে যাঁকে
ইচ্ছা
নবী-রাসূল হিসেবে,
সুসংবাদদাতা
ও সাবধানকারী
হিসেবে মনোনীত
করেছেন।
তাঁদের মধ্যে কোন
কোন
নবী-রাসূলকে
অন্যদের উপর
বিশেষ
মর্যাদা
দিয়েছেন।
তাঁর ইচ্ছা
অনুযায়ী তাঁদের
প্রত্যেককে বিশেষ
কিছু
বৈশিষ্ট্য
দিয়েছেন। এটি
সম্পূর্ণ
তাঁর রহমত ও
তাঁর দয়ায়।
তিনি
ইব্রাহিম ও মুহাম্মদ
(তাঁদের উপর
আল্লাহর রহমত
ও শান্তি বর্ষিত
হোক) কে খলিল
(বিশেষ বন্ধু)
হিসেবে গ্রহণ
করেছেন। প্রত্যেক
নবীকে তাঁর
সময়োপযোগী
বিশেষ মোজেজা
ও অলৌকিক
ক্ষমতা দান
করেছেন। যাতে
এ
মোজেজাগুলোর
মাধ্যমে
প্রত্যেকে নিজের
কওমের লোকদের
কাছে প্রমাণ
উপস্থাপন
করতে পারেন।
এসব করেছেন
তাঁর প্রজ্ঞা
ও ন্যায্যতা মোতাবেক।
তাঁর বিধানের
সমালোচনা
করার অধিকার
কারো নেই।
তিনি হচ্ছেন-
আল-আযিয (পরাক্রমশালী),
আল-লতিফ (সুক্ষ্মদর্শী),
আল-খাবির
(সবজান্তা)।
এককভাবে
কোন একটি
বৈশিষ্ট্য
কারো
শ্রেষ্ঠত্ব
প্রমাণ করে
না। ঈসা
আলাইহিস
সালামকে জীবিত
অবস্থায়
আকাশে উঠিয়ে
নেয়া আল্লাহ্
তাআলার ইচ্ছা
ও প্রজ্ঞার
দাবী মোতাবেক
ঘটেছে। এজন্য
নয় যে, তিনি
ইব্রাহিম,
মুহাম্মদ,
মুসা ও নূহ
(তাঁদের সকলের
উপর আল্লাহর
রহমত ও দয়া
বর্ষিত হোক)
প্রমুখ
রাসূলগণের
চেয়ে
শ্রেষ্ঠ। বরং
এ রাসূলগণকে
এমন কিছু
বৈশিষ্ট্য
দেয়া হয়েছে যে
বৈশিষ্ট্যগুলোর
দাবী হচ্ছে-
তাঁরা ঈসা
আলাইহিস সালামের
চেয়ে
শ্রেষ্ঠ।
মোটকথা,
এটা আল্লাহ্
তাআলার
ব্যাপার।
তিনি যেভাবে
ইচ্ছা
সেভাবেই
করেন। তাঁর
কর্মের
ব্যাপারে
প্রশ্ন করার
অধিকার কারো
নেই; তাঁর
পরিপূর্ণ
জ্ঞান ও
পরিপূর্ণ
প্রজ্ঞার
কারণে। আর এ
ধরণের
প্রশ্নের
সাথে তো কোন
আমল বা আকিদা
সম্পৃক্ত নয়।
বরং যে
ব্যক্তি এ
ধরণের প্রশ্ন
নিয়ে ব্যতিব্যস্ত
হয় সে
পেরেশানিতে
আক্রান্ত হতে
পারে,
সন্দেহ-সংশয়ে
পড়তে পারে। মুমিনের
কর্তব্য
হচ্ছে-
আল্লাহ্র
সাথে সংশ্লিষ্ট
বিষয়গুলো
নির্দ্বিধায়
মেনে নেয়া। আর
বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট
বিষয়গুলো বাস্তবায়নে
সাধনা করা;
সেটা আকিদা
হোক কিংবা আমল
হোক। এটাই হচ্ছে
নবী-রাসূলগণের
পদ্ধতি, খুলাফায়ে
রাশেদীনের পথ
এবং
সুপথপ্রাপ্ত
সলফে সালেহীনের
রাস্তা।
আল্লাহ্ই ভাল
জানেন।
আল্লাহ্
আমাদেরকে
তাওফিক দিন।
আমাদের নবী
মুহাম্মদ, তাঁর
পরিবার-পরিজন,
তাঁর
সাহাবীবর্গের
উপর আল্লাহর
রহমত ও শান্তি
বর্ষিত
হোক।[সমাপ্ত]
শাইখ
আব্দুল আযিয
বিন বায, শাইখ
আব্দুর রাজ্জাক
আফিফি, শাইখ
আব্দুল্লাহ
বিন গাদইয়ান,
শাইখ আব্দুল্লাহ
বিন কুয়ূদ।
আল্লাহ্ই
ভাল জানেন।