মাসিকের কারণে কোন নারী আশুরার রোযা রাখতে না পারলে তিনি কি সে রোযা কাযা পালন করবেন?

প্রশ্ন মুহররম মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে কোন নারী যদি মাসিকগ্রস্ত থাকেন তাহলে তিনি পবিত্রতার গোসলের পর এ রোযাগুলো কি রাখতে পারবেন? মুহররম মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে কোন নারী যদি মাসিকগ্রস্ত থাকেন তাহলে তিনি পবিত্রতার গোসলের পর এ রোযাগুলো কি রাখতে পারবেন? আলহামদু লিল্লাহ।. যিনি আশুরার রোযা যথাসময়ে রাখতে পারেননি তিনি এ…

প্রশ্ন

মুহররম মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে কোন নারী যদি মাসিকগ্রস্ত থাকেন তাহলে তিনি পবিত্রতার গোসলের পর এ রোযাগুলো কি রাখতে পারবেন?

মুহররম মাসের ৯, ১০ ও ১১ তারিখে কোন নারী যদি মাসিকগ্রস্ত থাকেন তাহলে তিনি পবিত্রতার গোসলের পর এ রোযাগুলো কি রাখতে পারবেন?

আলহামদু লিল্লাহ।.

যিনি আশুরার রোযা যথাসময়ে রাখতে পারেননি তিনি এ রোযাগুলোর কাযা পালন করবেন না। কেননা এ রোযা কাযা পালনের বিষয়টি সাব্যস্ত নেই। এবং যেহেতু এ রোযা রাখার প্রতিদান ১০ ই মুহররম রোযা রাখার সাথে সম্পৃক্ত; সে তারিখ তো পার হয়ে গেছে।

শাইখ উছাইমীন (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

আশুরার দিনে যে নারী হায়েযগ্রস্ত ছিলেন তিনি কি আশুরার রোযাটি পরে কাযা পালন করবেন? কোন্‌ নফল আমলের কাযা পালন করা যাবে; আর কোন্‌ নফল আমলের কাযা পালন করা যাবে না — এ বিষয়ক কোন নীতিমালা আছে কি? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

জবাবে তিনি বলেন: নফল আমল দুই প্রকার: বিশেষ কোন কারণ কেন্দ্রিক নফল আমল। কোন কারণ বিহীন নফল আমল। সুতরাং যে নফল আমলগুলো বিশেষ কোন কারণের সাথে সম্পৃক্ত সেগুলোর কারণ শেষ হয়ে গেলে আমলটির বিধানও শেষ হয়ে যাবে; আমলটি আর কাযা করা যাবে না। যেমন- তাহিয়্যাতুল মাসজিদের নামায। কোন লোক মসজিদে ঢুকে যদি বসে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় চলে যায় এরপর তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায পড়তে চায় ঐ নামায আর ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ হবে না। কারণ তাহিয়্যাতুল মাসজিদের নামায বিশেষ কারণকেন্দ্রিক ও নির্দিষ্ট কারণের সাথে সম্পৃক্ত। সে কারণটি যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে সে আমলের বিধান আর অটুট থাকে না। যেমন- অগ্রগণ্য মতে, আরাফার দিন ও আশুরার দিনের রোযা। কেউ যদি কোন ওজর ছাড়া আরাফার রোযা কিংবা আশুরার রোযা সময়মত না রাখে কোন সন্দেহ নেই যে, সে ব্যক্তি এ রোযাটি আর কাযা পালন করতে পারবে না। কাযা পালন করলেও সে উপকার পাবে না। অর্থাৎ এটি যে, আরাফার দিনের রোযা বা আশুরার দিনের রোযা সে উপকার সে পাবে না। আর যদি ব্যক্তির কোন ওজর থাকে যেমন- হায়েয বা নিফাসগ্রস্ত নারী, অসুস্থ ব্যক্তি; অগ্রগণ্য মতে, এরাও এ রোযার কাযা পালন করতে পারবে না। কারণ এ রোযাটি বিশেষ একটি দিনের সাথে খাস; সেই দিনটি অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে রোযা রাখার বিধানও শেষ হয়ে গেছে।[শাইখ উছাইমীনের ‘মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন’ (২০/৪৩)]

তবে, যে ব্যক্তি ওজরগ্রস্ত ছিল যেমন- হায়েয বা নিফাসগ্রস্ত নারী, রোগী বা মুসাফির যদি তার অভ্যাস থাকে যে, সে এ দিনটির রোযা রাখে কিংবা তার ঐ দিনটির রোযা রাখার নিয়ত ছিল তাহলে সে তার নিয়তের ভিত্তিতে সওয়াব পাবে। দলিল হচ্ছে সহিহ বুখারীতে (২৯৯৬) আবু মুসা আল-আশআরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কোন বান্দা যদি অসুস্থ হয় কিংবা সফরে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি মুকীম ও সুস্থ থাকা অবস্থায় যে আমলগুলো করত ঐ আমলগুলোর সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেওয়া হবে।”

ইবনে হাজার বলেন: তাঁর কথা: “সে ব্যক্তি মুকীম ও সুস্থ থাকা অবস্থায় যে আমলগুলো করত ঐ আমলগুলোর সওয়াব তার আমলনামায় লিখে দেওয়া হবে” এ কথা সে ব্যক্তির ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি নেক আমল করত; সেটা থেকে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার নিয়ত হচ্ছে- যদি এ প্রতিবন্ধকতা না থাকত তাহলে সে ব্যক্তি আমলের উপর অব্যাহত থাকত।”[সমাপ্ত; ফাতহুল বারী]

আল্লাহই ভাল জানেন

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.