মুসল্লি যদি তেলাওয়াতে ভুল করে কিংবা কোন আয়াত ভুলে যায় তখন কি করবে?

প্রশ্ন আমি যখন নামাযে কুরআন পড়ি তখন কখনও কখনও ভুল করি কিংবা মনোযোগ না দেয়ার কারণে ভুলে যাই। তারপর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ্‌ বলে পুনরায় সূরাটি বা আয়াতটি নতুনভাবে পড়া শুরু করি। এটা কি ঠিক? নাকি আমার কর্তব্য নতুন কোন সূরা শুরু করা? আমি যখন নামাযে কুরআন পড়ি তখন কখনও কখনও ভুল করি কিংবা মনোযোগ না দেয়ার…

প্রশ্ন

আমি যখন নামাযে কুরআন পড়ি তখন কখনও কখনও ভুল করি কিংবা মনোযোগ না দেয়ার কারণে ভুলে যাই। তারপর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ্‌ বলে পুনরায় সূরাটি বা আয়াতটি নতুনভাবে পড়া শুরু করি। এটা কি ঠিক? নাকি আমার কর্তব্য নতুন কোন সূরা শুরু করা?

আমি যখন নামাযে কুরআন পড়ি তখন কখনও কখনও ভুল করি কিংবা মনোযোগ না দেয়ার কারণে ভুলে যাই। তারপর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ্‌ বলে পুনরায় সূরাটি বা আয়াতটি নতুনভাবে পড়া শুরু করি। এটা কি ঠিক? নাকি আমার কর্তব্য নতুন কোন সূরা শুরু করা?

আলহামদু লিল্লাহ।.

যে ব্যক্তি নামাযের তেলাওয়াতে কোন অংশ ভুলে গেছেন কিংবা ভুল করেছেন: তার ভুলটি যদি সূরা ফাতিহাতে হয় তাহলে তাকে অবশ্যই ভুলটি শোধরাতে হবে। কেননা সূরা ফাতিহা ছাড়া কোন নামায নেই। সুতরাং কেউ যদি সূরা ফাতিহার কোন অংশ ভুলে যায় কিংবা এমন কোন ভুল করে যা অর্থকে পরিবর্তন করে দেয়; তাহলে উক্ত ভুলটি সংশোধন করা ছাড়া তার নামায শুদ্ধ হবে না। আর যদি ভুলটি ফাতিহা ছাড়া অন্য কোন সূরাতে হয় তাহলে তার নামায সহিহ। কেননা সূরা ফাতিহার পর সূরা পড়া সুন্নত; ওয়াজিব নয়।

স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন:

“যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহার পর সূরা পড়তে ভুলে গেছে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না; চাই তিনি ইমাম হন, মুক্তাদি হন, কিংবা একাকী নামায আদায়কারী হন; চাই সেটি ফরয নামায হোক, কিংবা নফল নামায হোক— এটি আলেমদের অভিমতদ্বয়ের মধ্যে বিশুদ্ধতর অভিমতের ভিত্তিতে।”[সমাপ্ত][ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (৭/১৪৬)]

যে ব্যক্তি সূরা পড়তে ভুলে গেছে কিংবা সূরার কোন অংশ ভুলে গেছে তার জন্য আস্তাগফিরুল্লাহ্‌ পড়া জায়েয নেই। বরং সে ভুলটিকে শুদ্ধ করার ও ভুলে যাওয়া অংশ স্মরণ করার চেষ্টা করবে। যদি তা না পারে তাহলে এ আয়াতটি বাদ দিয়ে পরের আয়াতে চলে যেতে পারে কিংবা এই সূরাটি বাদ দিয়ে অন্য একটি সূরা পড়তে পারে কিংবা রুকুতে চলে যেতে পারে। সেই ব্যক্তি যদি উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোন একটি করে তাহলে এতে কোন অসুবিধা নাই।

স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন:

“যদি মুসল্লির কোন একটি আয়াত পড়তে গিয়ে প্যাঁচ লেগে যায় এবং সে স্মরণ করতে না পারে; তাহলে পরের আয়াতটি পড়তে কোন বাধা নেই। কিন্তু তার জন্য শরিয়তের বিধান হলো: যে অংশটি তার ভাল মুখস্ত আছে নামাযে কেবল সে অংশ থেকে পড়া; যাতে করে সেই ব্যক্তি এ ধরণের সংশয়ে বেশি না পড়ে।”[সমাপ্ত][ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়িমা (৫/৩৩৭)]

শাইখ বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

“যদি ইমাম নামাযে যতটুকু সম্ভব হয়েছে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেছে, এরপর কোন আয়াত ভুলে যাওয়ায় পুরাটুকু শেষ করতে পারেনি এবং মুসল্লিদের মধ্যে কেউ তাকে লোকমা দিতে পারেনি; তখন তিনি কি তাকবীর দিবেন এবং রাকাত শেষ করবেন; নাকি অন্য কোন সূরা পড়বেন?

জবাবে তিনি বলেন: এ ক্ষেত্রে ইমামের এখতিয়ার থাকবে। তিনি চাইলে তাকবীর দিয়ে তেলাওয়াত সমাপ্ত করতে পারেন, কিংবা যেই নামায পড়ছেন সেই নামাযে ক্বিরাতের যে সুন্নাহ রয়েছে তার আলোকে অন্য কোন সূরার এক আয়াত বা একাধিক আয়াত পড়তে পারেন— যদি ভুলে যাওয়াটা সূরা ফাতিহা ছাড়া অন্য সূরার ক্ষেত্রে হয়। আর সূরা ফাতিহার ক্ষেত্রে হলে তাহলে গোটা সূরা ফাতিহা অবশ্যই পড়তে হবে। কেননা সূরা ফাতিহা পড়া নামাযের রুকন।”[সমাপ্ত][মাজমুউ ফাতাওয়া বিন বায (১২/১২৯)]

শাইখ বিন উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল:

“আমি একাকী নামায আদায়কালে যদি কোন আয়াত পাঠে ভুল করি, আয়াতটি শেষ করতে না পারি এবং অন্য আয়াতের সাথে তালগোল লেগে যায়; সেক্ষেত্রে নামাযের মধ্যে আমার কি করা উচিত?

জবাবে তিনি বলেন: আপনি দুটো বিষয়ের কোন একটি করতে পারেন: আপনি পরের আয়াতে চলে যেতে পারেন। কিংবা আপনি রুকুতে চলে যেতে পারেন। কেননা বিষয়টি প্রশস্ত।”[সমাপ্ত][ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (২৪/১৪১)]

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.