যিকির-আযকার নিয়মিত পড়া সত্ত্বেও কি জ্বিনের আছর হতে পারে? এবং প্রেমের আছরের চিকিৎসা

প্রশ্ন নামায আদায়, সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির একজন মুসলিমকে জ্বিনের অত্যাচার (প্রেমের আছর) থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয় কেন? যথাসময়ে নামায পড়া সত্ত্বেও, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির পড়া সত্ত্বেও। এখনও স্বপ্নে আমার কাছে জ্বিন আসে। এ আমলগুলো সত্ত্বেও সহবাস ও অন্যান্য কিছু বিষয় সংঘটিত হয়। নামায আদায়, সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির একজন মুসলিমকে…

প্রশ্ন

নামায আদায়, সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির একজন মুসলিমকে জ্বিনের অত্যাচার (প্রেমের আছর) থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয় কেন? যথাসময়ে নামায পড়া সত্ত্বেও, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির পড়া সত্ত্বেও। এখনও স্বপ্নে আমার কাছে জ্বিন আসে। এ আমলগুলো সত্ত্বেও সহবাস ও অন্যান্য কিছু বিষয় সংঘটিত হয়।

নামায আদায়, সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির একজন মুসলিমকে জ্বিনের অত্যাচার (প্রেমের আছর) থেকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয় কেন? যথাসময়ে নামায পড়া সত্ত্বেও, নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির পড়া সত্ত্বেও। এখনও স্বপ্নে আমার কাছে জ্বিন আসে। এ আমলগুলো সত্ত্বেও সহবাস ও অন্যান্য কিছু বিষয় সংঘটিত হয়।

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

ফরয ইবাদত নিয়মিত পালন করলে, সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের যিকির নিয়মিত পালন করলে মানুষ জ্বিনের অত্যাচার থেকে নিরাপদ থাকে— এটাই মূল অবস্থা। কিন্তু কোন কোন সময় মানুষ গাফেল হয়ে থাকে; সে সময়গুলোতে জ্বিন মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ে। কিংবা হতে পারে যিকির-আযকার নিয়মিত পড়া শুরু করার আগেই সে ব্যক্তি আছরের শিকার হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাকে বারবার রুকিয়া করা প্রয়োজন। তখন কেবল যিকির-আযকার দিয়ে জ্বিন যাবে না। তবে নিয়মিত যিকির পড়লে আছরের প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়ে; হতে পারে দূরীভুত হয়ে যায়।

শাইখ সালেহ আল-ফাওযানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: আমরা দেখতে পাই যে, কিছু কিছু লোক সকাল-সন্ধ্যার যিকির পড়ার মাধ্যমে সুরক্ষা গ্রহণ করা সত্ত্বেও তারা জ্বিন দ্বারা বা বদনজর দ্বারা আক্রান্ত হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে নীতিটা কী?

জবাবে শাইখ বলেন: “যদি আল্লাহ্‌ চান যে, সে কোন কিছুতে আক্রান্ত হোক তখন সে ব্যক্তি ঐ দিন যিকিরগুলো পড়ে না; ভুলে গিয়ে হোক কিংবা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে হোক।”

[www.alfawzan.af.org.sa/node/14626 থেকে সমাপ্ত]

দুই:

জ্বিনের আছরের চিকিৎসা হল সুন্নাহর অনুসারী কারো মাধ্যমে রুকিয়া করা। সকাল-সন্ধ্যা ও ঘুমের দোয়া, বাথরূমের প্রবেশের দোয়া, পোশাক ছাড়ার দোয়া, খাবার ও পানীয়ের দোয়া ইত্যাদি দোয়া নিয়মিত পড়া। এ দোয়াগুলো মনোযোগ দিয়ে ও পরিণতি স্মরণ করে পড়া। পবিত্র অবস্থায় ঘুমানো। অনুরূপভাবে আমরা আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি আল্লাহ্‌র কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করার। এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করার যাতে করে তিনি এই মুসিবত দূর করে দেন এবং আপনাকে সুস্থ করে দেন।

শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ আল-জিবরীন বলেন: “নিশ্চয় কিছু কিছু জিন পুরুষ মানুষের কাছে মহিলার রূপ ধারণ করে। এরপর পুরুষ মানুষের সাথে সহবাস করে। অনুরূপভাবে কিছু জিন পুরুষ মানুষের আকৃতি ধারণ করে মেয়ে মানুষের সাথে সহবাস করে; যেভাবে স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে।

এর চিকিৎসা হল:

নর-নারী সবাই হাদিসে বর্ণিত দোয়া-দরুদ পড়া এবং জিনদের থেকে নিরাপত্তা সম্বলিত কুরআনের আয়াতগুলো পড়ার মাধ্যমে জিনদের থেকে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় সুরক্ষা অবলম্বন করা।”[ফাতাওয়া উলামায়িল বালাদিল হারাম (পৃষ্ঠা-১৫৪৬) থেকে সমাপ্ত]

আরও জানতে দেখুন: 9577 নং প্রশ্নোত্তর।

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করি তিনি যেন আপনাকে সুস্থ করে দেন।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.