যীশুর বারোজন শিষ্য বা প্রেরিত কারা ছিলেন?

প্রশ্ন যীশুর বারোজন শিষ্য বা প্রেরিত কারা ছিলেন? উত্তর “শিষ্য” শব্দটি দিয়ে কোন শিষ্য গ্রহণকারী কিংবা অনুসরণকারীকে বুঝানো হয়ে থাকে। আর “প্রেরিত” শব্দটি দিয়ে “যাকে পাঠানো হয়েছে” এই অর্থ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যীশু যখন এই পৃথিবীতে ছিলেন তখন তাঁর বারোজন অনুসরণকারীকে শিষ্য বলে ডাকা হতো। এই বারোজন শিষ্য যীশু খ্রীষ্টকে অনুসরণ করতেন এবং তাঁর…

প্রশ্ন

যীশুর বারোজন শিষ্য বা প্রেরিত কারা ছিলেন?

উত্তর

“শিষ্য” শব্দটি দিয়ে কোন শিষ্য গ্রহণকারী কিংবা অনুসরণকারীকে বুঝানো হয়ে থাকে। আর “প্রেরিত” শব্দটি দিয়ে “যাকে পাঠানো হয়েছে” এই অর্থ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যীশু যখন এই পৃথিবীতে ছিলেন তখন তাঁর বারোজন অনুসরণকারীকে শিষ্য বলে ডাকা হতো। এই বারোজন শিষ্য যীশু খ্রীষ্টকে অনুসরণ করতেন এবং তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নিতেন, সঙ্গে সঙ্গে তারা তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণও গ্রহণ করতেন। যীশু তাঁর পুনরুত্থান ও স্বর্গারোহণের পর তাঁর সাক্ষী হতে তিনি তাদের বাইরে প্রচারে পাঠিয়েছিলেন (মথি ২৮:১৮-২০; প্রেরিত ১:৮ পদ)। এরপর এই পৃথিবীতে যীশুর থাকা অবধি “শিষ্য” এবং “প্রেরিত” পরিভাষা দু’টি কখনও কখনও অদলবদলভাবে ব্যবহৃত হতো।

প্রকৃতপক্ষে যারা শিষ্য বা প্রেরিত ছিলেন তাদের নামের তালিকা মথি ১০:২-৪ পদের মধ্যে লিপিবদ্ধ আছে; “সেই বারোজন প্রেরিতের নাম এই: প্রথম শিমোন যাকে পিতর বলা হয়, তারপর তার ভাই আন্দ্রিয়; সিবদিয়ের ছেলে যাকোব ও তার ভাই যোহন; ফিলিপ ও বর্থলময়; থোমা ও কর্-আদায়কারী মথি; আলফেয়ের ছেলে যাকোব ও থদ্দেয়; মৌলবাদী শিমোন এবং যীশুকে যে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল সেই যিহূদা ইস্কারিয়োৎ।” এই বারোজন শিষ্য বা প্রেরিতের নাম মার্ক ৩:১৬-১৯ এবং লূক ৬:১৩-১৬ পদেও লিপিবদ্ধ আছে। এই তিনটি অনুচ্ছেদ বা শাস্ত্রাংশে উল্লেখিত বারোজন শিষ্যের নামের মধ্যে খুবই সামান্য দু’টি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এখানে দেখা যায় যে, থদ্দেয় আবার “যাকোবের ছেলে যিহূদা” (লূক ৬:১৬ পদ) এবং লেবী (মথি১০:৩ পদ) নামেও পরিচিত ছিলেন। মৌলবাদী বা উদ্যোগী শিমোন আবার কনানীয় শিমোন নামেও পরিচিত ছিলেন (মার্ক ৩:১৮ পদ)। ইস্কারিয়োৎ যিহূদা যে যীশুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তার স্থলে মত্তথিয়কে ঐ বারোজন প্রেরিতের অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছিল (প্রেরিত ১:২০-২৬ পদ)। কিছু সংখ্যক বাইবেল শিক্ষক মত্তথিয়কে “অবৈধ বা অযোগ্য” হিসাবে দেখে থাকেন এবং তারা বিশ্বাস করেন যে, দ্বাদশ শিষ্য বা প্রেরিত হওয়ার জন্য পৌলই ছিলেন ঈশ্বরের পছন্দের ব্যক্তি।

যীশুর এই বারোজন শিষ্য বা প্রেরিত ছিলেন খুবই সাধাসিধে ধরনের, কিন্তু ঈশ্বর তাদের অসাধারণভাবে ব্যবহার করেছিলেন। এই বারোজন শিষ্যের মধ্যে কেউ ছিলেন জেলে, কেউ বা কর্-আদায়কারী এবং কেউ বা ছিলেন বিপ্লবী। যীশু খ্রীষ্টিকে অনুসরণ করা এই বারোজনের প্রত্যেকেরই ব্যর্থতা, সংগ্রাম ও অবিশ্বাসের কথা বাইবেলে লিপিবদ্ধ আছে। যীশুর পুনরুত্থান ও স্বর্গারোহণের সাক্ষী হওয়ার পর পবিত্র আত্মা তাদের প্রত্যেককে ঈশ্বরের পক্ষে শক্তিশালী লোক হিসাবে পরিবর্তীত করেছিলেন যারা সারা দুনিয়া তোলপাড় করে তুলেছিলেন (প্রেরিত ১৭:৬ পদ)। তাদের ভিতরকার পরিবর্তনগুলো কী ছিল? বারোজন শিষ্য বা প্রেরিতই “যীশুর সঙ্গে ছিলেন” (প্রেরিত ৪:১৩ পদ)। আমাদের ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য হোক! অর্থাৎ আমরাও প্রত্যেকে যীশুর সঙ্গে সঙ্গে থাকি এবং তাঁর সাক্ষী হয়ে উঠি!

[English]



[বাংলা হোম পেজে ফিরে যান]

যীশুর বারোজন শিষ্য বা প্রেরিত কারা ছিলেন?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.