যে ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় সহবাস করেছে তার কাফ্ফারা ও খাদ্য দানের পরিমাণ
প্রশ্ন যে ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় সহবাস করেছে তার কাফ্ফারা কী? এবং খাদ্য দানের পরিমাণ কতটুকু? যে ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় সহবাস করেছে তার কাফ্ফারা কী? এবং খাদ্য দানের পরিমাণ কতটুকু? আলহামদু লিল্লাহ।. “যদি কোন ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করে তাহলে তাদের প্রত্যেকের উপর কাফ্ফারা আদায় করা ওয়জিব। কাফ্ফারা হল: একজন মুমিন দাস মুক্ত…
প্রশ্ন
যে ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় সহবাস করেছে তার কাফ্ফারা কী? এবং খাদ্য দানের পরিমাণ কতটুকু?
আলহামদু লিল্লাহ।.
“যদি কোন ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করে তাহলে তাদের প্রত্যেকের উপর কাফ্ফারা আদায় করা ওয়জিব। কাফ্ফারা হল: একজন মুমিন দাস মুক্ত করা। যদি তারা তা করতে অক্ষম হয় তাহলে তাদের প্রত্যেকের উপর লাগাতরভাবে দুইমাস রোযা রাখা ওয়াজিব। যদি তারা লাগাতরভাবে দুই মাস রোযা রাখতে অক্ষম হয় তাহলে তাদের উপর ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ানো ওয়াজিব। দাস মুক্ত করা ও সিয়াম পালনে অক্ষম হলে তাদের উপর ষাটজন মিসকীনকে দেশীয় খাদ্য খাওয়ানো ওয়াজিব হবে; তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ত্রিশ সা’ দেশীয় খাদ্য দিতে হবে। প্রত্যেক মিসকীনকে এক সা’। অর্ধ সা’ স্বামীর পক্ষ থেকে; অর্ধ সা’ স্ত্রীর পক্ষ থেকে। এবং যেই দিন সহবাস সংঘটিত হয়েছে সেই দিনের রোযাটি কাযা পালন করতে হবে। এর সাথে আল্লাহ্র কাছে তাওবা করা, আল্লাহ্র দিকে ফিরে আসা, অনুশোচিত হওয়া, গুনাহটি ছেড়ে দেয়া ও ইস্তিগফার করা তাদের উপর ওয়াজিব হবে। কেননা রমযানের দিনের বেলায় সহবাস করা মহা অন্যায়। যাদের উপর রোযা রাখা আবশ্যক তাদের জন্য এ মহা অন্যায়ে লিপ্ত হওয়া নাজায়েয।”[শাইখ বিন বাযের ফতোয়াসমগ্র (১৫/৩০২)]
এর ভিত্তিতে: গরীব মানুষকে প্রদেয় খাদ্যের পরিমাণ অর্ধ সা’ চাল বা অন্য কিছু। অর্থাৎ প্রায় দেড় কিলোগ্রাম।