যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বেঁধেছে কিন্তু তাকে মক্কায় ঢুকতে দেয়া হয়নি

প্রশ্ন প্রশ্ন: আমার এক বন্ধু হজ্জে গিয়েছে। সে মদিনার মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। চেকপোস্টে পৌঁছার পর তাকে মদিনাতে ফেরত পাঠানো হয়েছে; কারণ তার কাছে হজ্জের তাসরিহ (অনুমতিপত্র) ছিল না। ফিরে এসে সে ইহরামের পোশাক খুলে ফেলেছে। সে কি এ হজ্জের সওয়াব পাবে; সে ইহরাম বেঁধেছে, কিন্তু মক্কায় ঢুকতে পারেনি? আলহামদু লিল্লাহ।….

প্রশ্ন

প্রশ্ন: আমার এক বন্ধু হজ্জে গিয়েছে। সে মদিনার মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। চেকপোস্টে পৌঁছার পর তাকে মদিনাতে ফেরত পাঠানো হয়েছে; কারণ তার কাছে হজ্জের তাসরিহ (অনুমতিপত্র) ছিল না। ফিরে এসে সে ইহরামের পোশাক খুলে ফেলেছে। সে কি এ হজ্জের সওয়াব পাবে; সে ইহরাম বেঁধেছে, কিন্তু মক্কায় ঢুকতে পারেনি?

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

হজ্জ
আদায় না করে
ফিরে আসা ও
হালাল হয়ে
যাওয়ার কারণে
তার কোন গুনাহ
হবে না। কারণ
তাকে জোরপূর্বক
তা করানো
হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা
তার অবস্থা
সম্পর্কে
সম্যক অবগত এবং
তিনি
বান্দাদের
প্রতি
দয়াবান। সে
ইখলাসের সাথে
হজ্জের যতটুকু
আমল করেছে সে
জন্য সওয়াব
পাবে।

দুই:

যে
ব্যক্তি
ইহরামকালে
শর্ত করে
নিয়েছে এভাবে
যে, ‘যদি কোন
প্রতিবন্ধকতা
তাকে
বাধাগ্রস্ত
করে তাহলে সে
বাধাপ্রাপ্তিস্থলে
হালাল হয়ে যাবে’
তাহলে তার উপর
কোন দায়
বর্তাবে না।
আর যদি সে এমন
কোন শর্ত না
করে থাকে
তাহলে তাকে
একটি হাদি
(পশু) যবেহ
করতে হবে;
যেহেতু সে
বাধাপ্রাপ্ত
হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা
বলেন: “যদি
তোমরা বাধা
প্রাপ্ত হও, তাহলে
কোরবানীর
জন্য যা কিছু
সহজলভ্য, তাই
তোমাদের উপর
ধার্য।”[সূরা
বাকারা, আয়াত:
১৯৬] এরপর
মাথা মুণ্ডন
করবে বা চুল
ছোট করবে। এর
মাধ্যমে সে
ইহরাম থেকে
হালাল হবে।

আল্লাহই
তাওফিকদাতা।
আমাদের নবী
মুহাম্মদ, তাঁর
পরিবার পরিজন

সাহাবীবর্গের
প্রতি আল্লাহর
রহমত ও শান্তি
বর্ষিত হোক।

ফতোয়া ও
গবেষণা বিষয়ক
স্থায়ী কমিটি

শাইখ
আব্দুল আযিয
বিন বায, শাইখ
আব্দুর রাজ্জাক
আফিফি, শাইখ
আব্দুল্লাহ
গাদইয়ান, শাইখ
আব্দুল্লাহ
বিন কুউদ

[স্থায়ী
কমিটির
ফতোয়াসমগ্র
(১১/৩৫০)]

শাইখ
উছাইমীনকে
জিজ্ঞেস করা
হয়েছিল: এমন
ব্যক্তি
সম্পর্কে
যিনি তাসরিহ
(অনুমতিপত্র)
ছাড়া হজ্জে
গিয়েছেন কিন্তু
তাকে মক্কায়
ঢুকতে দেয়া
হয়নি; তার উপর
কি অনিবার্য
হবে?

উত্তরে
তিনি বলেন:

যদি
তিনি ইহরামের
সময় বলে
থাকেন: ‘যদি কোন
প্রতিবন্ধকতা
তাকে
বাধাপ্রাপ্ত
করে তাহলে বাধাপ্রাপ্তিস্থলে
হালাল হয়ে
যাবেন’ তাহলে তিনি
হালাল হয়ে
যাবেন; তার
উপর কোন কিছু
আবশ্যক হবে
না। আর যদি
এমন কোন শর্ত না
করেন তাহলে
একটি হাদি
(পশু) যবেহ করা তার
উপর ফরজ হবে।
যেহেতু
আল্লাহ তাআলা
বলেন: “যদি
তোমরা বাধা
প্রাপ্ত হও, তাহলে
কোরবানীর
জন্য যা কিছু
সহজলভ্য, তাই
তোমাদের উপর
ধার্য।”[সূরা
বাকারা, আয়াত:
১৯৬] সে
ব্যক্তি যেখানে
বাধাপ্রাপ্ত
হয়েছে সেখানে
হালাল হবে
(মাথা মুণ্ডন
করবে অথবা চুল
ছোট করবে)।”
সমাপ্ত

[শাইখ
উছাইমীনের
ফতোয়াসমগ্র
(২৩/৪৩৩)]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.