রমযানের ছুটে যাওয়া রোযার নিয়তে সন্দেহের দিন রোযা রাখা

প্রশ্ন আমি জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। রমযানের রোযার দুইদিন আগে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু, এই দিনগুলোতে গত রমযানের কাযা রোযা পালন করার আমার জন্য জায়েয হবে? আমি জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। রমযানের রোযার দুইদিন আগে রোযা…

প্রশ্ন

আমি জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। রমযানের রোযার দুইদিন আগে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু, এই দিনগুলোতে গত রমযানের কাযা রোযা পালন করার আমার জন্য জায়েয হবে?

আমি জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্দেহের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। রমযানের রোযার দুইদিন আগে রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু, এই দিনগুলোতে গত রমযানের কাযা রোযা পালন করার আমার জন্য জায়েয হবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

হ্যাঁ, গত রমযানের কাযা রোযা সন্দেহের দিন, রমযানের একদিন বা দুইদিন আগে পালন করা জায়েয আছে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি সন্দেহের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। তিনি রমযানের একদিন বা দুইদিন আগে থেকে রোযা রাখতেও নিষেধ করেছেন। কিন্তু, এ নিষেধাজ্ঞা ঐ ব্যক্তির জন্যে নয় যার রোযা রাখার বিশেষ অভ্যাস রয়েছে। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা রমযানের একদিন বা দুইদিন আগে রোযা রাখবে না। তবে কারো যদি রোযা থাকার অভ্যাস থেকে থাকে সে ব্যক্তি রোযা রাখতে পারে।”।[সহিহ বুখারী (১৯১৪) ও সহিহ মুসলিম (১০৮২)] উদাহরণতঃ কারো যদি প্রতি সোমবার রোযা রাখার অভ্যাস থাকে এবং শাবান মাসের সর্বশেষ দিন সোমবারে পড়ে তার জন্য ঐ দিন নফল রোযা রাখা জায়েয হবে; এ রোযা রাখতে তাকে নিষেধ করা হবে না।

যদি অভ্যাসগত নফল রোযা রাখা জায়েয হয় তাহলে রমযানের কাযা রোযা রাখা জায়েয হওয়া অধিক যুক্তিযুক্ত। কারণ কাযা রোযা পালন করা ওয়াজিব। কেননা কাযা রোযা পালন পরবর্তী রমযান পর্যন্ত বিলম্ব করা জায়েয; এর বেশি নয়।

ইমাম নববী (রহঃ) ‘আল-মাজমু’ গ্রন্থে (৬/৩৯৯) বলেন:

আমাদের মাযহাবের আলেমগণ বলেন: রমযান নিয়ে সন্দেহপূর্ণ দিনে রোযা রাখা সহিহ নয়­-এতে কোন মতভেদ নেই…। যদি কেউ এ দিন কাযা রোযা রাখে, মানতের রোযা রাখে, কিংবা কাফ্‌ফারার রোযা রাখে তাহলে সেটা জায়েয হবে। কেননা বিশেষ কোন কারণে নফল রোযা রাখা যদি জায়েয হয় তাহলে ফরয রোযা রাখা জায়েয হওয়া অধিক যুক্তিযুক্ত; যে ওয়াক্তগুলোতে নামায পড়া নিষেধ করা হয়েছে সে ওয়াক্তগুলোর মত। আর যে ব্যক্তির উপর শুধু একদিনের রোযার কাযা পালন করা বাকী তার উপর সেদিন রোযা রাখা অবধারিত। কারণ তার কাযা রোযা পালন করার সময়কাল সংকীর্ণ হয়ে গেছে।[সমাপ্ত]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.