শাওয়ালের ছয় রোযা কি লাগাতরভাবে রাখা শর্ত?

প্রশ্ন শাওয়াল মাসের ছয় রোযা কি লাগাতরভাবে রাখা শর্ত নাকি আমি আলাদা আলাদাভাবে রাখতে পারি? কেননা আমি চাচ্ছি, প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে তিন ধাপে রোযাগুলো রাখতে? শাওয়াল মাসের ছয় রোযা কি লাগাতরভাবে রাখা শর্ত নাকি আমি আলাদা আলাদাভাবে রাখতে পারি? কেননা আমি চাচ্ছি, প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে তিন ধাপে…

প্রশ্ন

শাওয়াল মাসের ছয় রোযা কি লাগাতরভাবে রাখা শর্ত নাকি আমি আলাদা আলাদাভাবে রাখতে পারি? কেননা আমি চাচ্ছি, প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে তিন ধাপে রোযাগুলো রাখতে?

শাওয়াল মাসের ছয় রোযা কি লাগাতরভাবে রাখা শর্ত নাকি আমি আলাদা আলাদাভাবে রাখতে পারি? কেননা আমি চাচ্ছি, প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে তিন ধাপে রোযাগুলো রাখতে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

শাওয়ালের রোযাগুলো লাগাতরভাবে রাখা শর্ত নয়। তাই এ রোযাগুলো কেউ আলাদা আলাদাভাবে রাখুক কিংবা লাগাতরভাবে রাখুক এতে কোন অসুবিধা নেই। তবে যত তাড়াতাড়ি আদায় করা যায় তত ভাল। কেননা আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “তোমরা ভাল কাজে অগ্রণী হও।” আল্লাহ্‌ আরও বলেন: “তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমার দিকে দ্রুত ছুটে আস।” মুসা আলাইহিস সালাম বলেন: “আমি তাড়াতাড়ি আপনার কাছে আসলাম, আপনি সন্তুষ্ট হবেন এ জন্য।”[সূরা ত্ব-হা, আয়াত: ৮৪] তাছাড়া দেরী করলে নানা বিপদ-আপদ ঘটতে পারে। এটি শায়েফি মাযহাবের আলেমগণ ও হাম্বলি মাযহাবের কিছু কিছু আলেমের অভিমত। কিন্তু, অবিলম্বে আদায় না করে মাসের মাঝখানে কিংবা শেষে আদায় করলেও কোন অসুবিধা নেই।

ইমাম নববী বলেন:

“আমাদের মাযহাবের আলেমগণ বলেন: এ হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখা মুস্তাহাব। শাওয়াল মাসের প্রথম দিকে লাগাতরভাবে রোযাগুলো রাখা মুস্তাহাব। আর যদি আলাদাভাবে রাখে কিংবা শাওয়াল মাসের পরে রাখে তবুও জায়েয হবে এবং এ সুন্নত পালনকারী হিসেবে গণ্য হবে এ হাদিসের ব্যাপকতার কারণে। এ বিষয়ে আমাদের আলেমগণের মধ্যে কোন মতভেদ নেই। ইমাম আহমাদ ও দাউদও এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।”[আল-মাজমু শারহুল মুহায্‌যাব]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.