সংক্রামক রোগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার ক্ষেত্রে ইসলামের শিক্ষা

প্রশ্ন সংক্রামক রোগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা/সুরক্ষিত থাকার ব্যাপারে ইসলাম কী শিক্ষা দেয়? কুরআনের সূরার এমন কোন আয়াত আছে কি সংক্রামক রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা কিংবা প্রতিরোধ করার জন্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে যেটার উপর আমল করা আবশ্যক? উদাহরণতঃ ইহুদীদের একটি বই আছে Book of Leviticus নামে; যে বইটি এমন বিষয়ের জন্য খাস। সংক্রামক রোগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা/সুরক্ষিত…

প্রশ্ন

সংক্রামক রোগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা/সুরক্ষিত থাকার ব্যাপারে ইসলাম কী শিক্ষা দেয়? কুরআনের সূরার এমন কোন আয়াত আছে কি সংক্রামক রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা কিংবা প্রতিরোধ করার জন্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে যেটার উপর আমল করা আবশ্যক? উদাহরণতঃ ইহুদীদের একটি বই আছে Book of Leviticus নামে; যে বইটি এমন বিষয়ের জন্য খাস।

সংক্রামক রোগের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা/সুরক্ষিত থাকার ব্যাপারে ইসলাম কী শিক্ষা দেয়? কুরআনের সূরার এমন কোন আয়াত আছে কি সংক্রামক রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনা কিংবা প্রতিরোধ করার জন্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে যেটার উপর আমল করা আবশ্যক? উদাহরণতঃ ইহুদীদের একটি বই আছে Book of Leviticus নামে; যে বইটি এমন বিষয়ের জন্য খাস।

আলহামদু লিল্লাহ।.

প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত যে সব কারণ সংক্রামক রোগ ও মরণব্যধি ঘটাতে পারে সে সব উপসর্গ থেকে দূরে থাকা। এর দলিল হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: لا يُورد ممرض على مصح (কোন রোগাক্রান্ত উটের মালিক তার উটকে সুস্থ উটের মালিকের সাথে একত্রে পানি পান করবে না)। এ হাদিসে مُمْرِض শব্দের অর্থ যে ব্যক্তি খোস-পাঁচড়া বা এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত অসুস্থ উটের মালিক। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অসুস্থ উটের মালিক সে ব্যক্তি তার উটকে এমন ভূমিতে চরাবে না, এমন পানির ঘাটে নিয়ে যাবে না যেখানে সুস্থ উটের মালিকেরা তাদের উটগুলো নিয়ে যায়। এই ভয়ে যে, রোগ অসুস্থ উট থেকে সুস্থ উটগুলোতে স্থানান্তরিত হতে পারে। এভাবে ফলে রোগ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আরও উদ্ধৃত হয়েছে যে, فِرّ من المجذوم فرارك من الأسد (তুমি কুষ্ঠরোগী থেকে এমনভাবে পলায়ন কর যেভাবে সিংহ থেকে পলায়ন কর)। এখানে مجذوم অর্থ কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি। কুষ্ঠরোগ হল এক ধরণের খারাপ পোঁড়া; যা আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় ছড়িয়ে পড়ে।

আমরা বিশ্বাস করি যে, এ রোগগুলো নিজ প্রকৃতি থেকে সংক্রমণ করতে পারে না। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন لا عدوى ولا طيرة (কোন সংক্রমন নেই, কোন কুলক্ষণ নেই)। অর্থাৎ এ রোগগুলো নিজ থেকে সংক্রমিত হয় না। কিন্তু আল্লাহ্‌ এগুলোর মধ্যে স্থানান্তরিত হওয়ার শক্তি দিয়েছেন। আল্লাহ্ এগুলোর মধ্যে এমন উপকরণ দিয়েছেন যা এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তিতে রোগ স্থানান্তরের কারণকে অনিবার্য করে। তখন পারস্পারিক মেলামেশা সংক্রমণের কারণ হয়। তাই প্রত্যেকের উচিত উচিত হাদিসের উপর আমল করে রোগ সংক্রমণের কারণগুলো থেকে বেঁচে থাকা।

নিঃসন্দেহে সবকিছু আল্লাহ্‌র নির্ধারিত তাকদীর ও নিয়তির ভিত্তিতে ঘটে। এ কারণে যারা কুলক্ষণে বিশ্বাস করে তাদের বিশ্বাসকে নাকচ করে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “যখন তাদের কোন মঙ্গল হত তখন বলত, ‘এটা আমাদের জন্যই।’ আর যদি কোন অমঙ্গল ঘটত তাহলে সেজন্য মূসা ও তার সঙ্গীদেরকে অশুভ লক্ষণযুক্ত মনে করে তাদেরকে দায়ী করত। জেনে রাখ, নিশ্চয়ই তাদের অশুভ লক্ষণ আল্লাহ্‌র জানা আছে। তবে তাদের অধিকাংশই তা জানে না।”

যদি রোগাক্রান্ত মানুষের সাথে মেলামেশা ঘটে তখন আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় রোগ সংক্রমিত হয়— এ বিষয়ক দলিলগুলো সুস্পষ্ট। আবার কখনও আল্লাহ্‌ তাওফিক দিলে মেলামেশা হলেও রোগ সংক্রমিত হয় না।

আরও জানতে দেখুন: 137801 নং প্রশ্নোত্তর।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.