গরীব ব্যক্তি তার পক্ষ থেকে যাকাত গ্রহণ করার জন্য যাকাতদাতাকে প্রতিনিধি বানানো কি জায়েয আছে?

প্রশ্ন যে ব্যক্তি আমাকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) দিতে চাচ্ছেন আমি কি তাকে বলতে পারি যে, “আমি এই যাকাতটি আপনার নিজের থেকে আমার জন্য গ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রতিনিধি বানালাম”। উল্লেখ্য, করোনার কারণে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না। যে ব্যক্তি আমাকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) দিতে চাচ্ছেন আমি কি তাকে বলতে পারি যে, “আমি এই…

প্রশ্ন

যে ব্যক্তি আমাকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) দিতে চাচ্ছেন আমি কি তাকে বলতে পারি যে, “আমি এই যাকাতটি আপনার নিজের থেকে আমার জন্য গ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রতিনিধি বানালাম”। উল্লেখ্য, করোনার কারণে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না।

যে ব্যক্তি আমাকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) দিতে চাচ্ছেন আমি কি তাকে বলতে পারি যে, “আমি এই যাকাতটি আপনার নিজের থেকে আমার জন্য গ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রতিনিধি বানালাম”। উল্লেখ্য, করোনার কারণে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না।

আলহামদু লিল্লাহ।.

গরীব ব্যক্তি তার পক্ষ থেকে যাকাত গ্রহণ করার জন্য ধনী ব্যক্তিকে প্রতিনিধি বানানো জায়েয। ধনী ব্যক্তি যাকাতটি গ্রহণ করে তার কাছে রেখে দিবেন; যাতে করে গরীব লোকটি যখন চায় তখন এসে নিয়ে যেতে পারে।

আল্লামা ইবনে আব্দুর রহমান বিন কাসেম তাঁর ‘হাশিয়াতুল রাওয’ নামক গ্রন্থে (৩/২৯৩) বলেন: “এটি আদায় হওয়া ও গরীব লোক এর মালিক হওয়ার জন্য শর্ত হল: হস্তগত করা। হস্তগত করার আগে এতে লেনদেন করা সহিহ নয়।

এমনকি যদি গরীব লোক অর্থের মালিককে তার পক্ষ থেকে গ্রহণ করার জন্য প্রতিনিধি বানিয়ে দেয় এবং এ অর্থ দিয়ে তার জন্য কোন কাপড় বা অন্য কিছু কেনার দায়িত্ব দেয় তাহলে সেটা সহিহ হবে।”[সমাপ্ত]

শাইখ ইবনে উছাইমীন (রহঃ) বলেন: “কোন ব্যক্তির জন্য তার যাকাত দিয়ে কোন জিনিসপত্র কিনে দিরহামের বদলে সেসব জিনিস প্রদান করা জায়েয নয়। আলেমগণ বলেন: যেহেতু দিরহাম গরীব লোকের জন্য অধিক উপকারী। কেননা দিরহাম যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে খরচ করা যায়; জিনিসপত্র সেভাবে করা যায় না। হতে পারে তার এসব জিনিসপত্রের প্রয়োজন নাই। সেক্ষেত্রে গরীব লোককে এ জিনিসপত্রগুলো কম দামে বিক্রি করতে হবে।

তবে, আপনি যদি কোন পরিবারের ব্যাপারে আশংকা করেন যে, তাদেরকে যাকাতের অর্থ দিলে তারা অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ করে ফেলবে সেক্ষেত্রে একটি রাস্তা আছে। তাহলো আপনি পরিবারের প্রধানকে বলবেন, সে বাবা হোক, মা হোক, ভাই হোক, চাচা হোক। আপনি তাকে বলবেন: আমার কাছে কিছু যাকাতের অর্থ আছে। আপনাদের কোন জিনিসগুলো প্রয়োজন আমি আপনাদেরকে সেগুলো খরিদ করে পাঠিয়ে দিব। যদি এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাহলে জায়েয হবে এবং যাকাত যথাযথভাবে আদায় হয়ে যাবে।”।[শাইখ ইবনে উছাইমীনের ‘মাজমুউ ফাতাওয়া’ (১৮/৪৮১)]

এটি গরীব ব্যক্তির পক্ষ থেকে যাকাতদাতাকে যাকাতের অর্থ দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে দেয়ার প্রতিনিধিত্ব দেয়া; শুধু যাকাত গ্রহণের দায়িত্ব নয়। কিন্তু এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রথমে নিজের পক্ষ থেকে যাকাতের অর্থ গ্রহণ করা; যদিও গরীব লোক বা যাকাতপ্রদানকারী পরিস্কারভাবে সেটি উল্লেখ না করে থাকে।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.