বিদাতী উৎসব পালন

প্রশ্ন প্রশ্ন: ঈদে মিলাদুন্নবী, শিশুদের জন্মদিন, মা দিবস, কিংবা বৃক্ষরোপন-সপ্তাহ ইত্যাদি উদযাপন করার বিধান কি? আলহামদু লিল্লাহ।. এক: স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বছর ঘুরে, মাস ঘুরে কিংবা সপ্তাহ ঘুরে যে সম্মিলন বার বার ফিরে আসে সেটাই ঈদ বা উৎসব। ঈদ নিম্নোক্ত বৈশিষ্টগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে: পুনঃ পুনঃ ফিরে আসে এমন দিন; যেমন- ঈদুল ফিতর ও জুমার দিন। ঐ…

প্রশ্ন

প্রশ্ন: ঈদে মিলাদুন্নবী, শিশুদের জন্মদিন, মা দিবস, কিংবা বৃক্ষরোপন-সপ্তাহ ইত্যাদি উদযাপন করার বিধান কি?

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

স্বাভাবিক
প্রক্রিয়ায়
বছর ঘুরে, মাস
ঘুরে কিংবা
সপ্তাহ ঘুরে
যে সম্মিলন
বার বার ফিরে
আসে সেটাই ঈদ
বা উৎসব। ঈদ
নিম্নোক্ত বৈশিষ্টগুলোকে
অন্তর্ভুক্ত
করে: পুনঃ পুনঃ ফিরে
আসে এমন
দিন; যেমন-
ঈদুল ফিতর
ও জুমার দিন। ঐ দিনে
সম্মিলন ঘটা। ঐদিনে
যে কর্মগুলো
করা হয়
সেগুলো ইবাদত শ্রেণীর
কিংবা প্রথাগত।

দুই:

এ দিবসগুলোর
মধ্যে যে দিবস দ্বারা
উদ্দেশ্য
হয় ইবাদত
ও নৈকট্য হাছিল কিংবা
সওয়াব অর্জনের জন্য সম্মান
প্রদর্শন
কিংবা যে দিবসের ক্ষেত্রে জাহেলি যুগের লোক
বা তাদের মত অন্য
কাফের গোষ্ঠীর সাথে সাদৃশ্য
পাওয়া যায় সেগুলো
নব-উদ্ভাবিত
ও নিন্দনীয়
বিদাত এবং সেটি
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের
নিম্নোক্ত
বাণীর মধ্যে পড়ে
যাবে “যে ব্যক্তি আমাদের শরিয়তে এমন কিছু
চালু করবে
যা শরিয়তে
নেই সেটা
প্রত্যাখ্যাত।”[সহিহ
বুখারী ও সহিহ
মুসলিম]

এর
উদাহরণ হচ্ছে­–
ঈদে
মিলাদুন্নবী,
মা দিবস,
জাতীয় দিবস
ইত্যাদি পালন
করা। এগুলোর
মধ্যে প্রথমটিতে
এমন এক ইবাদত
এর নবপ্রচলন রয়েছে
আল্লাহ্‌ যার
অনুমোদন
দেননি।
এছাড়াও এর
মধ্যে
খ্রিস্টান ও
অন্যান্য
কাফেরদের
সাথে সাদৃশ্য
রয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয়টির
মধ্যে কাফেরদের
সাথে সাদৃশ্য
রয়েছে।

পক্ষান্তরে,
যে সব দিবসগুলো
পালনের উদ্দেশ্য
হচ্ছে–
উম্মতের
কল্যাণ সাধনে
তাদের কর্মে শৃঙ্খলা
আনা, পাঠদানের
সময়সূচী বিন্যস্ত
করা,
কর্মকর্তাদের
মিটিং এর
সময়সূচী
বিন্যস্ত করা
ইত্যাদি যেগুলো
মূলতঃই
আল্লাহ্‌র
নৈকট্য, তাঁর
ইবাদত, কিংবা
সম্মানপ্রদর্শনের
সাথে
সংশ্লিষ্ট নয়
সেগুলো হচ্ছে–
অভ্যাসগত
বিদাত; যেগুলো
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি্ ওয়া
সাল্লামের
বাণী: “যে ব্যক্তি
আমাদের শরিয়তে এমন কিছু
চালু করে
যা শরিয়তে
নেই সেটা
প্রত্যাখ্যাত”
এর অধিভুক্ত
হবে না। তাই
সেগুলোতে
দোষের কিছু
নেই।

আল্লাহ্‌ই
উত্তম
তাওফিকদাতা,
আমাদের নবী
মুহাম্মদ, তাঁর
পরিবার-পরিজন
ও তাঁর
সাহাবীবর্গের
ওপর আল্লাহ্‌র
রহমত বর্ষিত
হোক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.