যাদের দেশে কোরবানির গোশত নেয়ার মত গরীব মুসলমান নেই তারা কিভাবে কোরবানির গোশত বণ্টন করবে?

প্রশ্ন আমি বিদেশী অধ্যয়নরত একজন ছাত্র। আমি কোরবানি করতে ইচ্ছুক। আমি জানি যে, কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। এক তৃতীয়াংশ নিজেদের জন্য। এক তৃতীয়াংশ হাদিয়া দেয়ার জন্য। আর এক তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে সদকা করার জন্য। উল্লেখ্য, আমি এখানে যে শহরে পড়ি এখানে কোন গরীব মুসলমান নেই। এখানে অবস্থানরত মুসলমানেরা বলে তারা এক তৃতীয়াংশ…

প্রশ্ন

আমি বিদেশী অধ্যয়নরত একজন ছাত্র। আমি কোরবানি করতে ইচ্ছুক। আমি জানি যে, কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। এক তৃতীয়াংশ নিজেদের জন্য। এক তৃতীয়াংশ হাদিয়া দেয়ার জন্য। আর এক তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে সদকা করার জন্য। উল্লেখ্য, আমি এখানে যে শহরে পড়ি এখানে কোন গরীব মুসলমান নেই। এখানে অবস্থানরত মুসলমানেরা বলে তারা এক তৃতীয়াংশ ‘ইসলামিক সেন্টার’ এ দান করে দেয়। এটা কি সঠিক? নাকি অন্য কোন সমাধান আছে যা আমরা করতে পারি? আমাদেরকে জানাবেন আশা করি। আল্লাহ্‌ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

আমি বিদেশী অধ্যয়নরত একজন ছাত্র। আমি কোরবানি করতে ইচ্ছুক। আমি জানি যে, কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। এক তৃতীয়াংশ নিজেদের জন্য। এক তৃতীয়াংশ হাদিয়া দেয়ার জন্য। আর এক তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে সদকা করার জন্য। উল্লেখ্য, আমি এখানে যে শহরে পড়ি এখানে কোন গরীব মুসলমান নেই। এখানে অবস্থানরত মুসলমানেরা বলে তারা এক তৃতীয়াংশ ‘ইসলামিক সেন্টার’ এ দান করে দেয়। এটা কি সঠিক? নাকি অন্য কোন সমাধান আছে যা আমরা করতে পারি? আমাদেরকে জানাবেন আশা করি। আল্লাহ্‌ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

আলহামদু লিল্লাহ।.

এক:

কোরবানির গোশত তিন ভাগ করার বিষয়টি কোন কোন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে। তবে এ বিষয়ে প্রশস্ততা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গরীব-মিসকীনদের কাছে কোরবানির গোশতের একটা অংশ পৌঁছা।

ইবনে উমর (রাঃ) বলেন: “কোরবানির পশু ও হাদির পশুর গোশত এক তৃতীয়াংশ নিজের পরিবারের জন্য, এক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য এবং এক তৃতীয়াংশ মিসকীনদের জন্য”।

ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকেও এমন উক্তি রয়েছে।

দুই:

যদি কোরবানিকারী তার কোরবানির গোশত থেকে কোন একজন মিসকীন মুসলিমকে খাইয়ে এরপর বাকী গোশত অমুসলিমদেরকে দান করে দেয় তিনি সেটা করতে পারেন।

ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন:

“কোরবানির গোশত কাফেরকে খাওয়ানো জায়েয। এটি হাসান, আবু সাওর ও কিয়াসপন্থীদেরও অভিমত।

কেননা এটি নফল সদকা। তাই এর থেকে যিম্মি ও অমুসলিম বন্দিকে খাওয়ানো জায়েয; অন্যসব সদকার মত। আর যেটা ওয়াজিব সদকা সেটা কোন কাফেরকে দেওয়া জায়েয নয়। কেননা ওয়াজিব সদকা যাকাত ও কসম ভঙ্গের কাফ্‌ফারার মত”।[আল-মুগনি (১১/১০৯) থেকে সংক্ষেপিত]

অতএব, আপনি আপনার কোরবানির পশু জবাই করার পর একজন মিসকীন মুসলমানের সন্ধান করবেন এবং তাকে কিছু দিয়ে দিবেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকে আপনি নিজে খাবেন, সংরক্ষণ করে রাখবেন, হাদিয়া দিবেন ও দান করবেন; এমনকি অমুসলিমদেরকে হলেও। হতে পারে এর মাধ্যমে ইসলামের প্রতি অমুসলিমদের অন্তর আকৃষ্ট হবে।

আর যদি আপনি কোন একজন মিসকীনকেও না চিনেন এবং আপনার পক্ষ থেকে ইসলামিক সেন্টার গরীবদেরকে খুঁজে বের করে তাদের কাছে কোরবানির গোশত পৌঁছিয়ে দেয়ার দায়িত্ব পালন করবে তাহলে ইসলামিক সেন্টারকে আপনি যতটুকু পরিমাণ চান দিয়ে দিতে পারেন।

আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *