যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশতঃ কিবলার উল্টো দিকে নামায আদায় করেছে
প্রশ্ন আমি একজন যুবক। মক্কাতে আমার চাকুরী হয়েছে। আমার ফ্যামিলি জেদ্দাতে থাকে। আমি শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মক্কায় থাকতাম। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে আমি জেদ্দায় গিয়ে পরিবারের সাথে থাকতাম। এক সপ্তাহে আমি জেদ্দায় গিয়ে দেখলাম আমার পিতা আমি যে রুমে ঘুমাই সেই রুমের সেটিং পরিবর্তন করে ফেলেছেন। আমি যে দরজা দিয়ে রুমে ঢুকতাম সেই দরজা বন্ধ…
প্রশ্ন
আমি একজন যুবক। মক্কাতে আমার চাকুরী হয়েছে। আমার ফ্যামিলি জেদ্দাতে থাকে। আমি শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মক্কায় থাকতাম। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে আমি জেদ্দায় গিয়ে পরিবারের সাথে থাকতাম। এক সপ্তাহে আমি জেদ্দায় গিয়ে দেখলাম আমার পিতা আমি যে রুমে ঘুমাই সেই রুমের সেটিং পরিবর্তন করে ফেলেছেন। আমি যে দরজা দিয়ে রুমে ঢুকতাম সেই দরজা বন্ধ করে বিপরীত পাশের দেয়ালের দিকে একটি দরজা খুলেছেন। রুমের আসবাবপত্রও পরিবর্তন করেছেন। আলহামদু লিল্লাহ; আমি অধিকাংশ নামায মসজিদে আদায় করতাম। কখনও কখনও ছুটে যেত। তখন আমি রুমে নামায পড়ে নিতাম। রুমের এই পরিবর্তনের এক মাস পরে আমি ধরতে পারলাম যে, আমি কিবলার বিপরীত দিকে নামায আদায় করছি। ইয়া শাইখ; এর বিধান কী? পুনঃ উল্লেখ্য, আমি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছাড়া বাসায় আসতাম না এবং অধিকাংশ নামায মসজিদেই পড়তাম।
আলহামদু লিল্লাহ।.
কিবলামুখী হওয়া নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত। সামান্য ব্যতিক্রম হলে সেটা মার্জনীয়; বেশি নয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি কিবলা ঠিক করার যথাযথ চেষ্টা করেছেন কিন্তু এরপরেও ভুল করেছেন তার বিষয়টাও মার্জনীয়। আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে আপনি কাউকে জিজ্ঞেস করেননি, যথাযথ চেষ্টা করেননি। বরং কিবলা থেকে আপনার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খেয়ালই করেননি। এমতাবস্থায়, আপনাকে সে নামাযগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে।
যদি সে নামাযগুলোর সংখ্যা জানা আপনার জন্য সমস্যা হয়ে পড়ে তাহলে আপনি সতর্কতামূলক এত ওয়াক্তের নামায আদায় করে নিবেন যাতে করে আপনার প্রবল ধারণা হয় যে, আপনার দায় মুক্ত হয়েছে।
আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত।