যে ব্যক্তি একাকী রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখেছে তার জন্য কি সিয়াম পালন করা অনিবার্য?

প্রশ্ন প্রশ্ন: যে ব্যক্তি একাকী রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখেছে তার জন্য কি সিয়াম পালন করা অনিবার্য? যদি তা অনিবার্য হয় এর সপক্ষে দলীল কী? আলহামদু লিল্লাহ।. সেব্যক্তি মাসের শুরু ও সমাপ্তি উভয় ক্ষেত্রে তারনিজেরদেখাঅনুসারে একাকীআমলকরবে।মাসেরশুরুতেতিনি একাকী রোজাশুরুকরবেনএবংমাসেরশেষেনিজের দেখা অনুযায়ী রোজা ছাড়বেন।এটিইমামশাফেয়ীরঅভিমত। সে ব্যক্তিনিজেরদেখাঅনুসারেমাসেরশুরুতেআমলকরবেনএবংএকাকীরোজা রাখা শুরুকরবেন। তবেমাসেরশেষেনিজেরদেখাঅনুসারেআমলকরবেন না।বরংঅন্যসবারসাথেরোজা ছাড়বেনকরবে।এটিঅধিকাংশ আলেমেরমত। এদেরমধ্যেরয়েছেনইমামআবুহানিফা, ইমামমালেকওইমামআহমাদ রাহিমাহুমুল্লাহ। আর এ…

প্রশ্ন

প্রশ্ন: যে ব্যক্তি একাকী রমজান মাসের নতুন চাঁদ দেখেছে তার জন্য কি সিয়াম পালন করা অনিবার্য? যদি তা অনিবার্য হয় এর সপক্ষে দলীল কী?

আলহামদু লিল্লাহ।.

সেব্যক্তি
মাসের শুরু ও
সমাপ্তি উভয়
ক্ষেত্রে তারনিজেরদেখাঅনুসারে
একাকীআমলকরবে।মাসেরশুরুতেতিনি
একাকী রোজাশুরুকরবেনএবংমাসেরশেষেনিজের
দেখা অনুযায়ী
রোজা ছাড়বেন।এটিইমামশাফেয়ীরঅভিমত।

সে
ব্যক্তিনিজেরদেখাঅনুসারেমাসেরশুরুতেআমলকরবেনএবংএকাকীরোজা
রাখা শুরুকরবেন।
তবেমাসেরশেষেনিজেরদেখাঅনুসারেআমলকরবেন
না।বরংঅন্যসবারসাথেরোজা
ছাড়বেনকরবে।এটিঅধিকাংশ
আলেমেরমত। এদেরমধ্যেরয়েছেনইমামআবুহানিফা,
ইমামমালেকওইমামআহমাদ
রাহিমাহুমুল্লাহ।

আর
এ মতটি গ্রহণ
করেছেন শাইখ ইবনেউছাইমীনরাহিমাহুল্লাহ। তিনি বলেছেন:“এটি সাবধানতামূলক
অভিমত। এ
মত গ্রহণের
মাধ্যমে আমরা
রোজা থাকা ও
ছাড়া উভয়
ক্ষেত্রে
সাবধানতা
অবলম্বন
করেছি। রোজা
পালনের
ক্ষেত্রে
আমরা তাকে বলব:
আপনি রোজা
রাখুন। কিন্তু রোজা
ছাড়ার
ব্যাপারে
আমরা তাকে বলব:
আপনি রোজা
ছাড়বেননা; বরং
রোজা
রাখতে থাকুন।”সমাপ্ত[আশ-শারহুলমুমতি
(৬/৩৩০)]

সেব্যক্তি
মাসের শুরু অথবা
সমাপ্তি কোন
ক্ষেত্রে তারনিজেরদেখাঅনুসারেআমল করবে
না। বরং সবার সাথে
রোজা
রাখবেএবং সবার
সাথে রোজা ছাড়বে।

তিনি
আরও দলীল
হিসেবে পেশ করেন
যে, কেউ
যদি জিলহজ্ব
মাসের নতুন চাঁদ
একাকী দেখে তবে আলেমগণের কেউ একথা
বলেননি যে, (হজ্জ পালনের ক্ষেত্রে) সে একাকী আরাফাতে
অবস্থান করবে।
তিনি
আরো উল্লেখ
করেন যে,
এই মাসয়ালার মূলভিত্তি
হচ্ছে- আল্লাহ তাআলা এই হুকুমকে নতুন চাঁদ ও মাসের
সাথে সম্পৃক্ত
করেছেন।তিনি
বলেন:

( يسألونكعنالأهلةقلهيمواقيتللناسوالحج )

“লোকেরা আপনাকে নতুন মাসের চাঁদসম্পর্কে জিজ্ঞেস
করে। আপনি
তাদেরকে বলে
দিনএটা মানুষের (বিভিন্ন
কাজ-কর্মের)এবং হজ্জেরসময়
নির্ধারণ করার জন্য।”[২ সূরা আল-বাক্বারা:১৮৯]আয়াতে
কারীমাতে
আহিল্লাহ(أهلة) শব্দটি হিলাল(هلال) শব্দের
বহুবচন।
হিলাল বলতে
বুঝায়- যা দিয়ে
কোন
ঘোষণা দেয়া হয়
বা কোন
কিছু প্রচার করা হয়।
তাই আকাশে
যদি চাঁদ উদিত হয় আর মানুষ সে সম্পর্কে
না জানে
এবং তা
দিয়ে মাস
গণনা শুরু না
করে তবে
তো তা‘হিলাল’হলো না।অনুরূপভাবে شهر(শাহর
বা মাস) শব্দটি
شهرة (শুহরত
বা প্রসিদ্ধি) শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
সুতরাং মানুষের মাঝে যদি
প্রসিদ্ধি
নাপায় তবে তো
নতুন মাস শুরু
হয়েছে বলে গণ্য
করা হবে
না। অনেক
মানুষ এই মাসয়ালাতে
ভুল করেন এই ধারণার
কারণে
যে, তারা
মনে করেন আকাশে নতুন চাঁদ
উদিত হলেই
তো তামাসের প্রথম রাত্রি হিসেবে
ধরা হবে-
চাই
সেটা মানুষের মাঝে প্রচার
লাভ করুন অথবা
না করুক, তারা এর দ্বারা
নতুন মাস
গণনা
আরম্ভ করুক বা না করুক। কিন্তু
ব্যাপারটি
এমন নয়; বরং মানুষের
কাছে নতুন
চাঁদ প্রকাশিত
হওয়া এবং
এর দ্বারা
তাদের নতুন মাস
শুরু করা
আবশ্যক। এজন্য নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

( صومكميومتصومون،وفطركميومتفطرون،وأضحاكميومتضحون )

“আপনাদেররোজা
হবে সেদিনযেদিনআপনারাসকলেরোজা পালন
শুরু করেন। আপনাদেরঈদহবে
সেদিনযেদিনআপনারাসকলেরোজা ভঙ্গকরেন। আরআপনাদেরঈদুলআযহাহবে সেদিনযেদিনআপনারাসকলেপশুকোরবানীকরেন।’’অর্থাৎযেদিনটিকে
আপনারারোজা পালন,ঈদুল
ফিতর উদযাপনএবংঈদুলআযহা
উদযাপনেরদিন
হিসেবেজানতে পেরেছেন। আরযদিআপনারাতানা-জানতে
পারেন তবেএকারণেআপনাদেরউপরকোনহুকুমবর্তাবেনা।”সমাপ্ত[মাজমূলফাতাওয়া (২৫/২০২)]

“রোজা
হবে সেদিনযেদিনআপনারাসকলেরোজা পালন
শুরু করেন…’’হাদিসটিকেআলবানীসহীহসুনানে
তিরমিযিগ্রন্থে সহীহবলেচিহ্নিতকরেছেন (৫৬১)।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.