যে

প্রশ্ন আমি ও আমার ফ্যামিলি এমন দেশে থাকি যেখানে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ। এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি এর মূল্য সদকা করে দিব? আমি ও আমার ফ্যামিলি এমন দেশে থাকি যেখানে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ। এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি এর মূল্য সদকা করে দিব? আলহামদু লিল্লাহ।. আলহামদুলিল্লাহ। যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে…

প্রশ্ন

আমি ও আমার ফ্যামিলি এমন দেশে থাকি যেখানে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ। এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি এর মূল্য সদকা করে দিব?

আমি ও আমার ফ্যামিলি এমন দেশে থাকি যেখানে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ। এখন আমাদের করণীয় কী? আমরা কি এর মূল্য সদকা করে দিব?

আলহামদু লিল্লাহ।.

আলহামদুলিল্লাহ।

যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে কোরবানীর পশু কিংবা নবজাতকের আকিকার পশু এবং আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেখানে এটি জবাই করা অসম্ভব হয় তাহলে উত্তম হচ্ছে‑আপনি আপনার পক্ষ থেকে অন্য দেশে জবাই করার জন্য অর্থ পাঠিয়ে দিবেন; যেখানে পরিবার-পরিজন রয়েছে কিংবা গরীব-মিসকীন রয়েছে। কেননা কোরবানীর পশু বা আকিকার পশু জবাই করা পশুর মূল্য দান করার চেয়ে উত্তম।

ইমাম নববী বলেন: “পরিচ্ছেদ: আমাদের মাযহাব মতে, আকিকা দেয়া আকিকার পশুর মূল্য সদকা করার চেয়ে উত্তম। ইমাম আহমাদ ও ইবনুল মুনযিরও একই কথা বলেছেন।”[আল-মাজমু (৮/৪১৪) থেকে সমাপ্ত]

‘মাতালিবু উলিন্‌ নুহা’ গ্রন্থে বলেছেন: কোরবানীর পশু জবাই করা ও আকিকার পশু জবাই করা পশুর মূল্য দান করার চেয়ে উত্তম। এ ব্যাপারে ইমাম আহমাদের সরাসরি উক্তি রয়েছে। অনুরূপ বিধান ‘হাদি’ এর পশুর ব্যাপারেও প্রযোজ্য। যেহেতু হাদিসে এসেছে‑ “কোরবানীর দিন আল্লাহ্‌র কাছে রক্তপাতের আমলের চেয়ে উত্তম কোন আমল নেই। কেয়ামতের দিন কোরবানীর পশু তার শিং, খুর ও পশমসহ উপস্থিত হবে। এবং কোরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই তা আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব, তোমরা কোরবানীর প্রতি খুশি থাক।”[সুনানে ইবনে মাজাহ] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে কোরবানী করেছেন এবং হাদি প্রেরণ করেছেন। তাঁর পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদীনও একই আমল করেছেন। যদি পশুর মূল্য সদকা করা উত্তম হত তাহলে তাঁরা সেটা বাদ দিয়ে কোরবানী করতেন না।[সমাপ্ত] শাইখ আলবানী ‘আস-সিলসিলাতুয যায়ীফা’ গ্রন্থে (৫২৬) হাদিসটিকে ‘যয়ীফ’ বলেছেন।

শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: “আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে কোরবানী করা জায়েয হবে? নাকি আপনি এর বদলে নগদ অর্থ নিজের দেশে বা অন্য কোন মুসলিম দেশে পাঠাবেন?

জবাবে তিনি বলেন: আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে যদি আপনার সাথে আপনার পরিবার থাকে তাহলে সেখানে কোরবানী করা উত্তম। আর যদি আপনার পরিবার অন্যত্র থাকে এবং তাদের সেখানে কোরবানী করার মত কেউ না থাকে তাহলে আপনি তাদের জন্য দিরহাম পাঠিয়ে দিন। যাতে করে তারা সেখানে কোরবানী করতে পারে।”[মাজমুউ ফাতাওয়াস শাইখ বিন উছাইমীন (২৪/২০৭) থেকে সমাপ্ত]

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.