রোযাদারের সামান্য একটু বমি করার হুকুম কি?

প্রশ্ন সামান্য একটু বমি করা কি রোযাকে নষ্ট করবে? এটি ছিল সামান্য; থুথু ও বমির মাঝামাঝি। আশা করব এর হুকুম পরিস্কার করবেন। সামান্য একটু বমি করা কি রোযাকে নষ্ট করবে? এটি ছিল সামান্য; থুথু ও বমির মাঝামাঝি। আশা করব এর হুকুম পরিস্কার করবেন। আলহামদু লিল্লাহ।. বমি হলো: পেট থেকে খাদ্য ও এ জাতীয় কিছু দেহের…

প্রশ্ন

সামান্য একটু বমি করা কি রোযাকে নষ্ট করবে? এটি ছিল সামান্য; থুথু ও বমির মাঝামাঝি। আশা করব এর হুকুম পরিস্কার করবেন।

সামান্য একটু বমি করা কি রোযাকে নষ্ট করবে? এটি ছিল সামান্য; থুথু ও বমির মাঝামাঝি। আশা করব এর হুকুম পরিস্কার করবেন।

আলহামদু লিল্লাহ।.

বমি হলো: পেট থেকে খাদ্য ও এ জাতীয় কিছু দেহের বাইরে বেরিয়ে আসা। লিসানুল আরব নামক অভিধানে (১/১৩৫) বলা হয়: ‘পেটের ভেতরে যা আছে ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি বের করা’।

বমি করা রোযাকে নষ্ট করবে, নাকি করবে না; সে প্রসঙ্গে কথা হলো: যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তাহলে রোযা নষ্ট হবে এবং সেই দিনের রোযাটি কাযা পালন করা তার উপর আবশ্যক হবে। আর যদি বমিকে আটকিয়ে রাখতে না পারে, তাই নিজের ইচ্ছার বাইরে বমি করে দেয়; তাহলে তার রোযা সহিহ। তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। ইতিপূর্বে 38023 নং প্রশ্নোত্তরে এটি আলোচনা করা হয়েছে।

যদি কোন চিকিৎসার কারণে বমি করার প্রয়োজন হয় এবং বমি করাটা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সহযোগী হয়; সেক্ষেত্রে বমি করা জায়েয এবং সেই দিনের রোযাটি রমযান মাসের পরে কাযা পালন করা তার উপর আবশ্যক হবে। যেহেতু আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে সে অন্যদিনগুলোতে এ সংখ্যা পূর্ণ করবে।”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৫]

সঠিক মতানুযায়ী এক্ষেত্রে বেশি বমি ও কম বমির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে এবং সামান্য একটুও বের হয় এতে করে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। আল-ফুরু নামক গ্রন্থে বলা হয়: “যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করার চেষ্টা করে, ফলে কোন কিছু বমি করে দেয়; তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে “যে ব্যক্তিকে বমি পরাভূত করে ফেলেছে তার উপর কাযা নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেছে তাকে কাযা পালন করতে হবে”।[আল-ফুরু (৩/৪৯); হাদিসটি আবু দাউদ (২৩৮০) ও তিরমিযি (৭২০) বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন: এ হাদিসের উপর আলেমগণ আমল করেছেন এবং হাদিসটিকে আলবানী সহিহ বলেছেন]

তবে থুথু ও বমির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। থুথু, কফ ও এ জাতীয় জিনিসগুলো পেট থেকে আসে না। সুতরাং এগুলো বের করে ফেলতে কিংবা থু করে ফেলে দিতে কোন আপত্তি নেই। পক্ষান্তরে, বমি হলো পেটে যা আছে সেটা বের হওয়া যেমনটি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.