লাইলাতুল ক্বদর দেখা

প্রশ্ন লাইলাতুল ক্বদর কি দেখা সম্ভব? অর্থাৎ খালি চোখে লাইলাতুল ক্বদর কি দেখা যেতে পারে? কারণ কিছু কিছু লোক বলে থাকেন, যদি মানুষ লাইলাতুল ক্বদর দেখতে পায় সে আকাশে নূর বা এ জাতীয় কিছু দেখতে পাবে। রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ কিভাবে দেখেছিলেন? কোন ব্যক্তি কিভাবে জানতে পারবে যে, সে লাইলাতুল ক্বদর…

প্রশ্ন

লাইলাতুল ক্বদর কি দেখা সম্ভব? অর্থাৎ খালি চোখে লাইলাতুল ক্বদর কি দেখা যেতে পারে? কারণ কিছু কিছু লোক বলে থাকেন, যদি মানুষ লাইলাতুল ক্বদর দেখতে পায় সে আকাশে নূর বা এ জাতীয় কিছু দেখতে পাবে। রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ কিভাবে দেখেছিলেন? কোন ব্যক্তি কিভাবে জানতে পারবে যে, সে লাইলাতুল ক্বদর দেখতে পেয়েছে? যদি কোন লোক লাইলাতুল ক্বদর না দেখতে পায় তবে কি সে ঐ রাতের সওয়াব ও নেকি অর্জন করতে পারবে? আমরা আশা করব দলিলসহ বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।

লাইলাতুল ক্বদর কি দেখা সম্ভব? অর্থাৎ খালি চোখে লাইলাতুল ক্বদর কি দেখা যেতে পারে? কারণ কিছু কিছু লোক বলে থাকেন, যদি মানুষ লাইলাতুল ক্বদর দেখতে পায় সে আকাশে নূর বা এ জাতীয় কিছু দেখতে পাবে। রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গ কিভাবে দেখেছিলেন? কোন ব্যক্তি কিভাবে জানতে পারবে যে, সে লাইলাতুল ক্বদর দেখতে পেয়েছে? যদি কোন লোক লাইলাতুল ক্বদর না দেখতে পায় তবে কি সে ঐ রাতের সওয়াব ও নেকি অর্জন করতে পারবে? আমরা আশা করব দলিলসহ বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।

আলহামদু লিল্লাহ।.

আল্লাহ কাউকে তাওফিক দিলে সে ব্যক্তি চর্মচোখে লাইলাতুল ক্বদর দেখতে পারবে। অর্থাৎ লাইলাতুল ক্বদরের আলামতগুলো দেখতে পারবে। সাহাবায়ে কেরাম কিছু আলামতের মাধ্যমে সে রাত্রিকে সুনির্দিষ্ট করার পক্ষে দলিল পেশ করতেন। তবে, সে রাতকে দেখতে না পারলেও যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশা নিয়ে সে রাত্রিতে নামায আদায় করবে সে ব্যক্তি এর সওয়াব প্রাপ্তিতে কোন বাধা নেই। মুসলমানের উচিত নেকি ও সওয়াব হাছিলের উদ্দেশ্য নিয়ে রমযান মাসের শেষ দশরাত্রির মধ্যে লাইলাতুল ক্বদরের তীব্র অন্বেষণ করা। ঈমানের সাথে ও সওয়াবের নিয়তে আদায়কৃত তার কিয়ামুল লাইল যদি সে রাত্রির মধ্যে পড়ে তবে সে ব্যক্তি রাত্রিকে না চিনলেও এর সওয়াব পাবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াবের নিয়তে লাইলাতুল ক্বদরে কিয়াম করবে তথা নামায আদায় করবে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।” অন্য এক রেওয়ায়েতে এসেছে- যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদর অণ্বেষায় নামায আদায় করেছে, তার নামায যদি সে রাত্রিতে আদায় হয়ে থাকে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।”

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এ রাত্রির আলামত হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে যে, এ রাতের পর সকালে সূর্য উঠবে কিন্তু সূর্যের রশ্মি থাকবে না। উবাই বিন কাব (রাঃ) কসম করে বলতেন: এটি সাতাশ তারিখ এবং তিনি এ আলামতটি দিয়ে দলিল দিতেন। অগ্রগণ্য অভিমত হচ্ছে- এটি শেষ দশরাত্রির মধ্যে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। বেজোড় রাতগুলো হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। বেজোড় রাত্রিগুলোর মধ্যে সাতাশ তারিখ হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি অধিক। যে ব্যক্তি রমযানের শেষ দশরাত্রি নামায, কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও অন্যান্য নেক আমলের মধ্যে কাটাবেন নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদর পেয়েছেন এবং আল্লাহ তাআলা ঐ রাত্রিতে ঈমানের সাথে ও সওয়াব আশা নিয়ে যে ব্যক্তি কিয়াম করবে তাকে যে পুরষ্কারের সুসংবাদ দিয়েছেন সে ব্যক্ত সে মর্যাদা অর্জন করবে।

আল্লাহই তাওফিকদাতা; আমাদের নবী মুহাম্মদ এর উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততির উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *