হজ্জের মাসসমূহে উমরা করার বিধান

প্রশ্ন হজ্জের মাসসমূহে উমরা করা কি জায়েয; যদি সে বছর আমার হজ্জ করার নিয়ত না থাকে। ঊদাহরণতঃ হজ্জের প্রায় ১৫ দিন পূর্বে আমি মক্কা গিয়ে উমরা করলাম। উমরা শেষে ফিরে এলাম। এটা কি জায়েয হবে? হজ্জের মাসসমূহে উমরা করা কি জায়েয; যদি সে বছর আমার হজ্জ করার নিয়ত না থাকে। ঊদাহরণতঃ হজ্জের প্রায় ১৫ দিন…

প্রশ্ন

হজ্জের মাসসমূহে উমরা করা কি জায়েয; যদি সে বছর আমার হজ্জ করার নিয়ত না থাকে। ঊদাহরণতঃ হজ্জের প্রায় ১৫ দিন পূর্বে আমি মক্কা গিয়ে উমরা করলাম। উমরা শেষে ফিরে এলাম। এটা কি জায়েয হবে?

হজ্জের মাসসমূহে উমরা করা কি জায়েয; যদি সে বছর আমার হজ্জ করার নিয়ত না থাকে। ঊদাহরণতঃ হজ্জের প্রায় ১৫ দিন পূর্বে আমি মক্কা গিয়ে উমরা করলাম। উমরা শেষে ফিরে এলাম। এটা কি জায়েয হবে?

আলহামদু লিল্লাহ।.

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হজ্জের মাসে উমরা করা জায়েয; একই বছরে হজ্জ করার নিয়ত থাকুক অথবা না থাকুক। এ ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে কোন মতভেদ নেই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বমোট ৪টি উমরা করেছেন। তাঁর সবগুলো উমরা জিলক্বদ মাসে ছিল। জিলক্বদ হজ্জের মাস (শাওয়াল, জিলক্বদ ও জিলহজ্জ) এর অন্তর্ভুক্ত। শুধু তিনি তাঁর জীবনের শেষ উমরার সাথে বিদায়ী হজ্জ করেছেন। বুখারী ও মুসলিম আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চারটি উমরা করেছেন। শুধু তাঁর হজ্জের উমরা ছাড়া সবগুলো ছিল জিলক্বদ মাসে: হুদাইবিয়ার উমরা অথবা হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়ের উমরা ছিল জিলক্বদ মাসে। পরের বছরের উমরাও ছিল জিলক্বদ মাসে। যেখানে হুনাইনের গনিমত বিতরণ করা হয়েছিল সে জিয়িররানা থেকে যে উমরা করেছিলেন সেটাও জিলক্বদ মাসে। আর হচ্ছে তাঁর হজ্জের উমরা। ইমাম নববী (রহঃ) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন: “আনাস (রাঃ) ও ইবনে উমর (রাঃ) এর বর্ণনার সারকথা হচ্ছে- তাঁরা দুজন ৪টি উমরার ব্যাপারে একমত। একটি ছিল হুদাইবিয়ার বছর হিজরি ৬ষ্ঠ সালে জিলক্বদ মাসে। সে বছর তাঁরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গিয়েছেন; উমরা করতে পারেননি। দ্বিতীয়টি ছিল ৭ম হিজরির জিলক্বদ মাসে কাযা উমরা। তৃতীয়টি ছিল ৮ম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের বছর। চতুর্থটি ছিল হজ্জের সাথে। সে উমরার ইহরাম জিলক্বদ মাসে বেঁধেছিলেন এবং উমরার কাজগুলো জিলহজ্জ মাসে শেষ করেছিলেন।”

তিনি আরও বলেন: “আলেমগণ বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিলক্বদ মাসের ফজিলতের কারণে এবং জাহেলি যুগের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে এ উমরাগুলো জিলক্বদ মাসে পালন করেছেন। কারণ জাহেলি যুগে এ মাসে উমরা করাকে গুনার কাজ মনে করা হত। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে অধিক হারে উমরা করেছেন যাতে এ মাসে উমরা করা জায়েয এ বিষয়কে মজবুত করতে পারে এবং নাজায়েয হওয়ার জাহেলী দৃষ্টিভঙ্গিকে তীব্রভাবে অপনোদন করতে পারেন। আল্লাহই ভাল জানেন।”

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.