স্বামী তার স্ত্রীকে তার পিতার সাথে থাকতে বাধ্য করা জায়েয নয়

প্রশ্ন আমি আমার পরিবারিক বাসা ছেড়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে অন্য বাসায় থাকি— নানারকম সমস্যার কারণে। আমি আমার স্ত্রীকে ত্যাগ না করার ব্যাপারে তার সাথে অঙ্গীকার করেছি। কিছুদিন পর আমার পিতা আমাকে আমার স্ত্রী নিয়ে তাঁর সাথে একত্রে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমার স্ত্রী এতে অসম্মতি জানাচ্ছে। এখন আমি কি করব? আমি কি আমার পিতার…

প্রশ্ন

আমি আমার পরিবারিক বাসা ছেড়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে অন্য বাসায় থাকি— নানারকম সমস্যার কারণে। আমি আমার স্ত্রীকে ত্যাগ না করার ব্যাপারে তার সাথে অঙ্গীকার করেছি। কিছুদিন পর আমার পিতা আমাকে আমার স্ত্রী নিয়ে তাঁর সাথে একত্রে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমার স্ত্রী এতে অসম্মতি জানাচ্ছে। এখন আমি কি করব? আমি কি আমার পিতার আনুগত্য করে আমাদের মধ্যকার অঙ্গীকার ভঙ্গ করব? এবং আমি কি এ আয়াতের অধীনে পড়ে যাব: “এবং প্রতিশ্রুতি পালন করো। নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।”[সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৩৪]

আমি আমার পরিবারিক বাসা ছেড়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে অন্য বাসায় থাকি— নানারকম সমস্যার কারণে। আমি আমার স্ত্রীকে ত্যাগ না করার ব্যাপারে তার সাথে অঙ্গীকার করেছি। কিছুদিন পর আমার পিতা আমাকে আমার স্ত্রী নিয়ে তাঁর সাথে একত্রে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমার স্ত্রী এতে অসম্মতি জানাচ্ছে। এখন আমি কি করব? আমি কি আমার পিতার আনুগত্য করে আমাদের মধ্যকার অঙ্গীকার ভঙ্গ করব? এবং আমি কি এ আয়াতের অধীনে পড়ে যাব: “এবং প্রতিশ্রুতি পালন করো। নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।”[সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৩৪]

আলহামদু লিল্লাহ।.

নিঃসন্দেহে সন্তানের উপর পিতার অধিকার মহান। তবে, যেহেতু আপনার স্ত্রী আপনার পিতার বাসায় থাকতে নারাজ; তাই আপনি তাকে বাধ্য করতে পারেন না। আপনি এ ব্যাপারে আপনার বাবাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করুন এবং আপনার স্ত্রীকে আলাদা বাসায় রাখুন। এর সাথে আপনার পিতার সাথে যোগাযোগ রাখুন, তাঁর সাথে সদ্ব্যবহার করুন, তাঁকে সন্তুষ্ট রাখুন এবং সাধ্যানুযায়ী তাঁর সাথে কোমল আচরণ করুন।

আর তালাক্বের বিষয়টি আপনার জন্য জায়েয যদি আপনার তালাক্ব দেয়ার প্রয়োজন হয়; সেক্ষেত্রে আপনি শপথ ভঙ্গের কাফ্‌ফারা পরিশোধ করবেন। এটি আল্লাহ্‌ তাআলার বাণী: “এবং প্রতিশ্রুতি পালন করো। নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।”[সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৩৪]-এর বিরোধী হবে না। কেননা এখানে অঙ্গীকার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে যার মাধ্যমে কোন হালালকে হারাম করা হয়।[সমাপ্ত]

ফাযিলাতুশ শাইখ সালেহ আল-ফাওযান

[ফাতাওয়াল মারআল মুসলিমা (২/৬৬০), বিন্যাস: আশরাফ বিন আব্দুল মাক্বছুদ]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.