রোযাদার যদি রক্তপাতে আক্রান্ত হন

প্রশ্ন কোন রোযাদার যদি রমযান মাসের দীর্ঘ ২৮ দিন নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগে আক্রান্ত হয় এর হুকুম কী? আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি যে, আমার বয়স ৫৯ বছর। আমি জীবনে কোনদিন নাক পড়া রোগে আক্রান্ত হইনি। গত বছর রমযান মাসে আমি ভোর থেকে ইফতারের সময়ের মাঝে ৩ থেকে ৬ বার নাক দিয়ে রক্ত পড়ায় আক্রান্ত ছিলাম।…

প্রশ্ন

কোন রোযাদার যদি রমযান মাসের দীর্ঘ ২৮ দিন নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগে আক্রান্ত হয় এর হুকুম কী? আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি যে, আমার বয়স ৫৯ বছর। আমি জীবনে কোনদিন নাক পড়া রোগে আক্রান্ত হইনি। গত বছর রমযান মাসে আমি ভোর থেকে ইফতারের সময়ের মাঝে ৩ থেকে ৬ বার নাক দিয়ে রক্ত পড়ায় আক্রান্ত ছিলাম। আমার গলার ভেতরেও রক্ত চলে আসত। পরে জমাটবাধা রক্ত আমি ফেলে দিতাম।

কোন রোযাদার যদি রমযান মাসের দীর্ঘ ২৮ দিন নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগে আক্রান্ত হয় এর হুকুম কী? আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি যে, আমার বয়স ৫৯ বছর। আমি জীবনে কোনদিন নাক পড়া রোগে আক্রান্ত হইনি। গত বছর রমযান মাসে আমি ভোর থেকে ইফতারের সময়ের মাঝে ৩ থেকে ৬ বার নাক দিয়ে রক্ত পড়ায় আক্রান্ত ছিলাম। আমার গলার ভেতরেও রক্ত চলে আসত। পরে জমাটবাধা রক্ত আমি ফেলে দিতাম।

আলহামদু লিল্লাহ।.

আপনি যা উল্লেখ করেছেন যদি তেমনি ঘটে থাকে তাহলে আপনার রোযা শুদ্ধ। কেননা আপনার ইচ্ছার বাইরে আপনি নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সুতরাং এ রোগের কারণে আপনার উপর রোযা ভাঙ্গার হুকুম দেয়া হবে না। এর প্রমাণ পাওয়া যায় শরয়ি বিধান সহজ হওয়ার দলিল থেকে। যেমন, আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, “আল্লাহ্‌ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত।”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৮৬] আল্লাহ্‌ আরও বলেন, “আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা করতে চান না।”[সূরা মায়িদা, আয়াত: ০৬]

আল্লাহ্‌ই উত্তম তাওফিকদাতা, আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাথীদের উপর আল্লাহ্‌র রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।[সমাপ্ত]

ফতোয়া ও গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি।

শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ গাদইয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ বিন ক্বুয়ুদ।

[ফাতাওয়াল লাজনা আদ-দায়িমা লিল বুহুস ওয়াল ইফতা (১০/২৬৪-২৬৫)]

ফতোয়াসমগ্রে আরও রয়েছে-

“যদি রোযা থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তির অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার শরীর থেকে রক্তপাত ঘটে তাহলে তার রোযা ভাঙ্গবে না।”[সমাপ্ত]

শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ বিন গাদইয়ান।

[ফাতাওয়াল লাজনা আদ-দায়িমা লিল বুহুস ওয়াল ইফতা (১০/২৬৪-২৬৮)]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.