রোযা ভঙ্গকারী বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে মৌলনীতি

প্রশ্ন যারা রোযা রেখে বিভিন্ন শস্যদানা ভাঙ্গানোর কাজ করেন এ কাজ করাকালে শস্যদানার কিছু অংশ যদি ছুটে এসে গলার ভিতরে ঢুকে যায়। যারা রোযা রেখে বিভিন্ন শস্যদানা ভাঙ্গানোর কাজ করেন এ কাজ করাকালে শস্যদানার কিছু অংশ যদি ছুটে এসে গলার ভিতরে ঢুকে যায়। আলহামদু লিল্লাহ।. এতে করে তাদের রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কেননা বিক্ষিপ্তভাবে…

প্রশ্ন

যারা রোযা রেখে বিভিন্ন শস্যদানা ভাঙ্গানোর কাজ করেন এ কাজ করাকালে শস্যদানার কিছু অংশ যদি ছুটে এসে গলার ভিতরে ঢুকে যায়।

যারা রোযা রেখে বিভিন্ন শস্যদানা ভাঙ্গানোর কাজ করেন এ কাজ করাকালে শস্যদানার কিছু অংশ যদি ছুটে এসে গলার ভিতরে ঢুকে যায়।

আলহামদু লিল্লাহ।.

এতে করে তাদের রোযার কোন ক্ষতি হবে না। কেননা বিক্ষিপ্তভাবে এসব কিছু আসা তাদের ইচ্ছায় ঘটেনি। এগুলো তাদের পেটে যাক তাদের এমন কোন উদ্দেশ্যও ছিল না। এ প্রসঙ্গে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, রোযা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো (যেমন- সহবাস, পানাহার, ইত্যাদি) ৩টি শর্ত পূর্ণ না হলে রোযা নষ্ট করবে না:

এক: রোযা ভঙ্গকারী বিষয়টি রোযাদারের জানা থাকতে হবে; জানা না থাকলে তার রোযা ভাঙ্গবে না। এর দলিল হচ্ছে আল্লাহ্‌র বাণী, অর্থ হচ্ছে “এ ব্যাপারে তোমরা কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই; কিন্তু তোমাদের অন্তর যা স্বেচ্ছায় করেছে (তা অপরাধ)।”[সূরা আহযাব, আয়াত: ০৫] কুরআনে আরও এসেছে, “হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না।[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ২৮৬] এর প্রত্যুত্তরে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: সেটাই হবে। নবী সাল্লাল্লাহু এর বাণীতে এসেছে, “আমার উম্মতের উপর থেকে ভুল, বিস্মৃতি ও জবরদস্তির শিকার হয়ে তারা যা করে সেটা ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।” অজ্ঞ ব্যক্তি ভুলকারী। যদি সে জানত তাহলে তো সেটা করত না। অতএব, কেউ যদি অজ্ঞতাবশতঃ রোযা ভঙ্গকারী কোন বিষয়ে লিপ্ত হয় তাহলে তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না; বরং তার রোযা সহিহ হবে; তার সে অজ্ঞতা বিধানকেন্দ্রিক হোক কিংবা সময়কেন্দ্রিক হোক।

বিধানকেন্দ্রিক অজ্ঞতার উদাহরণ হচ্ছে: কোন ব্যক্তি যদি এই মনে করে কোন একটি রোযা ভঙ্গকারী বিষয়ে লিপ্ত হয় যে, এটি রোযা নষ্ট করবে না; যেমন কেউ এই ভেবে শিঙ্গা লাগাল যে, শিঙ্গা লাগালে রোযা ভাঙ্গে না; সেক্ষেত্রে তার রোযা সহিহ এবং তার উপর কোন কিছু বর্তাবে না। এ রকম অন্যান্য বিষয় যা ব্যক্তির ইচ্ছার বাইরে ঘটে যায় সেক্ষেত্রেও কোন দোষ হবে না এবং এ কারণে ব্যক্তির রোযা ভঙ্গ হবে না উল্লেখিত দলিলের কারণে।

সারকথা হচ্ছে: রোযা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো ৩টি শর্ত ব্যতিরেকে কোন মানুষের রোযা নষ্ট করবে না:

১। রোযা ভঙ্গকারী বিষয়টি ব্যক্তির জানা থাকা।

২। এতে লিপ্ত হওয়ার সময় ব্যক্তির স্মরণে থাকা।

৩। ইচ্ছাকৃতভাবে এতে লিপ্ত হওয়া।

আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.